স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মানব সম্পদ উন্নয়ন করে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত আগামী প্রজন্ম গড়তে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেছেন।বাংলাদেশে নবনিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেনে হোলেস্টাইন আজ তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করলে স্পিকার এ সহযোগিতা কামনা করেন।সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূচনালগ্ন থেকেই সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের সহযোগী উন্নয়ন অংশীদার।
স্পিকার বলেন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি, বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সাধারণ মানুষের মুক্তির লক্ষ্যেইে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবনের শুরু থেকেই আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শুধু রাজনৈতিক মুক্তিই দাবি করেননি, স্বপ্ন দেখেছিলেন অর্থনীতিতেও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধুর সেই অর্থনীতি উন্নয়ন ভাবনার গতি ধরেই তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে অর্থনৈতিক মুক্তির ঠিকানায়।
স্পিকার বলেন, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন,কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রূপকল্প-২০২১ ঘোষণা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র পুত্র, তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বিগত নয় বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এনেছেন আমূল পরিবর্তন। তৃণমূল পর্যায়সহ দেশের ৮ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট সেবা। এ সময়ে তিনি নারীর প্রশিক্ষণ, দক্ষতাবৃদ্ধি ও তরুণ প্রজন্মকে মানব সম্পদে পরিণত করতে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেন।
রেনে হোলেস্টাইন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণকে অতিথিপরায়ন ও আন্তরিক উল্লেখ করে বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অনুকরণীয় এবং অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকেও এদেশের অগ্রগতি লক্ষ্যণীয়। তিনি বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার লক্ষ্যে কাজ করে যাবেন বলে স্পিকারকে আশ্বস্ত করেন। এ সময় তিনি তরুণ প্রজন্মের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নারীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।