ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতাকারী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত একজন পুলিশ সহ অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষে আহত হয়েছে শতাধিক লোক। জমায়েত হয়ে সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করলেই গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। খবর: বিবিসি
দিল্লিতে গত কয়েক দশকে এরকম সহিংসতা আর দেখা যায়নি বলে বলছেন অনেকে। উত্তর পূর্ব দিল্লির বহু বাড়িঘর ও দোকানপাটে আগুন দেয়া হয়েছে এবং কিছু এলাকা সহিংসতার ফলে যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে। ভারতের রাজনীতিবিদরা শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছেন ।
দিল্লির পুলিশের স্পেশাল সিপি প্রবীর রঞ্জন জানান, জাফরাবাদ, মৌজপুর, চাঁদ বাগ ও করাবল নগরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। জমায়েত হলেই পুলিশকে গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। আহতদের মধ্যে ৫৬ জন পুলিশকর্মী। বিভিন্ন এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার সারাদিনই দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। লাঠি-রড নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষের লোকজন। চাঁদবাগে দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। দিল্লিতে ৩৫ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশসহ কমপক্ষে ২০০ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, এরকম এক পরিস্থিতিতে গুজব না ছড়তে আহ্বান জানিয়েছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। টুইট করে তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কোনও কিছু না দেখে বিশ্বাস করবেন না।
দিল্লির প্রাক্তন উপ রাজ্যপাল নাজিব জং সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টা আগেই কারফিউ জারি করা উচিত ছিল। সত্তর হাজার পুলিশ আছে। ভিআইপি ডিউটি থেকে তাদের সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগানো হোক।