ডিএমপি নিউজঃ অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে ঈদবস্ত্র বিতরণের কার্যক্রম চলমান রেখেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ঈদের অফুরন্ত আনন্দ ও খুশি সকলের মাঝে বিলিয়ে দিতে সমাজের অসহায় ও দুঃস্থ মানুষকে ঈদবস্ত্র উপহার দিলেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম।
আজ ২৩ মে, ২০১৯ রাজধানীর বনানী ও উত্তরা এলাকায় অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে মোট ৩৫০০ পিস (শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি ও ছোট বাচ্চাদের পোশাক) ঈদবস্ত্র বিতরণ করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান ও উত্তরা বিভাগ ঈদবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ঈদ আনন্দ সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে কমিশনার বলেন, আপনাদের ভালোবাসি বলে আমরা ঈদবস্ত্র ও শীতবস্ত্র নিয়ে সবসময় হাজির হই। এটি আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা। এই সমাজের মানুষকে ভালো রাখা, নিরাপদে রাখা আমাদের কাজ। ঈদে আমার সন্তানরা নতুন কাপড় পরবে, আর আপনারা নতুন কাপড় পরতে পারবেন না, তা হবে না। ঈদ মানে আনন্দ আর এই আনন্দ আমরা সবাই করব।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন মাদককে রুখতে হবে। কারণ মাদক আমাদের রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার ও আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করছে। মাদক আমাদের দেশে তৈরি হয় না, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আসে। আপনার-আমার পরিবারের কেউ মাদকাসক্ত হলে তা দুনিয়ার মাঝে এক জাহান্নাম। মানুষ মারা গেলে একা মারা যায় কিন্তু মাদকাসক্ত হলে সে পরিবারের সকলকে মেরে ফেলে। সেজন্য আমরা ঘোষণা দিয়েছি ঢাকা মহানগরে কোন মাদকের ব্যবসা থাকবে না। ইতোমধ্যে আমরা সকল মাদকের আখড়া ভেঙ্গে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, মক্তব, ডে-কেয়ার সেন্টার, কালচারাল সেন্টার তৈরি করে দিয়েছি। মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক তাকে ছাড় দেয়া হবে না।
ঈদবস্ত্র নিতে আসা সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে কমিশনার বলেন, মাদক আমাদের সকলের শত্রু। দেশ, সমাজ ও পরিবারকে বাঁচাতে সকলকে মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আপনার চারপাশে যদি কোন মাদক ব্যবসায়ী থাকে তাহলে পুলিশকে নির্ভয়ে তথ্য দিন। আপনার পরিচয় গোপন রাখা হবে। মাদকের ভয়াবহতা থেকে আপনার পরিবার ও সন্তানকে রক্ষা করুন।
তিনি আরও বলেন- রমজানের এই ১৭ দিনে রাজধানীতে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টির মত উল্লেখযোগ্য কোন অপরাধ সংঘটিত হয়নি। মানুষ নিরাপত্তার সাথে গভীর রাত পর্যন্ত ঈদ কেনাকাটা করে নিরাপদে বাড়ি ফিরছে। কারণ আমরা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। ঈদকে সামনে রেখে জনগণের নিরাপত্তা বিধানে আমরা সবধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আপনারা যদি পুলিশকে সহযোগিতা করেন তাহলে আপনাদের ভালো রাখতে, নিরাপদে রাখতে আমরা আরো অনেক ভালো কাজ করতে পারব।
এ সময় অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে গুলশান বিভাগে বনানী স্কুল মাঠে ১৫ শত পিস ও উত্তরা বিভাগের ৬নং সেক্টর কমিউনিটি সেন্টারে ২ হাজার পিস ঈদবস্ত্র (শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি ও ছোট বাচ্চাদের পোশাক) বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস্) কৃষ্ণ পদ রায় বিপিএম-বার, পিপিএম-বার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোঃ আবদুল বাতেন বিপিএম, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক দক্ষিণ) মফিজ উদ্দিন আহমেদ পিপিএম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (প্রটেকশন) মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বিপিএম, পিপিএম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশন) মোঃ মনির হোসেন পিপিএম, গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম মোস্তাক আহমেদ খান বিপিএম, পিপিএম (বার), উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল পিপিএম সহ ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।