ডিএমপি নিউজ: সড়ক দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য যানবাহন চালক, পথচারিসহ সকলকে রাস্তায় চলাচলে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘অহেতুক একটি প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। যানবাহন চালকদের ও একটি দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে। তা না হলে দুর্ঘটনা ঘটবে।’
আজ সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় ৪ লেন বিশিষ্ট ফ্লাইওভার, সেতু এবং বাইপাসসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে প্রদত্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
তাঁর সরকার সড়ক উন্নয়ন করছে তবে, সড়ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সকলকে যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোন সড়ক কত বড় বা ভারী যানবাহন চলতে পারে সে বিষয়টা একটু খেয়াল রাখা দরকার। কারণ অনেক সময় অনেকে এই বিষয়টি মানতে চান না।’
তিনি বলেন, নিরাপদ সড়কের কথা আমরা বলছি। ইতোমধ্যে আমরা নিরাপদ সড়ক আইন প্রণয়ন করেছি। কাজেই যারা রাস্তায় চলাচল করেন তারা যখন রাস্তা পার হবেন তখন ডান এবং বাম এই দুইদিকে দেখে সচেতনভাবে পার হতে হবে। আবার রাস্তায় যারা যানবাহন গাড়ি বা মোটরসাইকেল চালাবেন তাদেরও সচেতন হতে হবে। বাস, ট্রাক চালকদেরও সচেতন হতে হবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সাতক্ষীরা, নারায়ণগঞ্জ এবং মুন্সীগঞ্জ এলাকার উপকারভোগী এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণভবন প্রান্তে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো.নজরুল ইসলাম স্বাগত বক্তৃতা করেন।
এ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো.নজিবুর রহমান । এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, পিএমও সচিব সাজ্জাদুল হাসানসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং গণভবনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা দুর্ঘটনা ঘটলে শুধুমাত্র চালককে দায়ী করলে চলবে না, বরং কি কারণে দুর্ঘটনা ঘটলো সেজন্য যে পথচারি এবং দুর্ঘটনা কবলিত যানের যে চালক তারও কি ভুল আছে সেটাও কিন্তু দেখা দরকার। সেজন্য আমি বলবো চালক থেকে শুরু করে যারা সড়ক ব্যবহারকারী সবারই সচেতনতা একান্তভাবে প্রয়োজন।
তিনি বলেন, একটি দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো নানা দুঃখ কষ্টের শিকার হয়, কেউ মারা যায়, কেউ পঙ্গু হয়ে থাকে, বিভিন্নভাবে তাদের জীবন-মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কাজেই এই দিকটা সকলকেই দেখতে হবে।
তিনি এজন্য স্কুল পর্যায় থেকেই সড়কে চলাচলের আইন প্রশিক্ষণ দেওয়ায় তাঁর আহবান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘রাস্তার কোনদিক থেকে হাঁটতে হবে, সেটাও একটি শিক্ষণীয় বিষয়। কখন পার হতে হবে সেটাও শিক্ষণীয় বিষয়। আমি মনে করি, আমাদের প্রতিটি স্কুলে এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীকেই স্কুল জীবন থেকেই এই শিক্ষাটা প্রদান করা একান্তভাবে দরকার।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাঁর উদ্বোধন করা সড়ক, সেতু, ফ্লাইওভার এবং বাইপাস ব্যবহারে সকলকে যত্নবান হওয়ার আহবান জানান।
এ সময় বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তাঁর সরকার অবশ্যই সক্ষম হবে বলেও আশাবাদ পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।