১৩ সেপ্টেম্বর’১৭ বুধবার সকাল ১১.০০ টায় আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা ও পবিত্র আশুরা মিছিলের নিরাপত্তা সংক্রান্তে সম্বনয় সভা অনুষ্ঠিত হয় । ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম(বার), পিপিএম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ ছাড়াও র্যাব, এসবি, এনএসআই, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগ, উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, পবিত্র আশুরা মিছিল উদযাপন কমিটি, বাংলাদেশ দূর্গাপূজা উদযাপন কমিটি এবং ঢাকা মহানগর দূর্গাপূজা উদযাপন কমিটির প্রতিনিধিগণ ।
সভার শুরুতেই উপস্থিত সকলকে ডিএমপি কমিশনার সালাম ও শুভেচ্ছা জানান । এরপর আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা ও পবিত্র আশুরা মিছিলের নিরাপত্তা সংক্রান্তে সকলের বক্তব্য শোনেন ।
নিরাপত্তা প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন-ধর্ম যার যার উৎসব সবার । আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা ও পবিত্র আশুরা মিছিলের নিরাপত্তা দিতে বাংলাদেশ সরকার, প্রশাসন ও পুলিশ সক্ষম ও আন্তরিক । নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোন কারন নেই ।
শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন সর্ম্পকে তিনি বলেন-ঢাকা মহানগর এলাকায় প্রতিমা তৈরী শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত কার কি দায়িত্ব তার নির্দেশনা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ঠ বিভাগের অফিসারদের দেয়া হয়েছে । নিরাপত্তার জন্য ঢাকেশ্বরী মন্দিরে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে এবং এখান থেকে রাজধানীর সকল পূজামন্ডপের নিরাপত্তা তদারকি করা হবে । পূজামন্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য প্রতিটি মন্ডপে স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে নিরাপত্তা কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ঠ বিভাগের ডিসি ও ওসিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।
নিরাপত্তার জন্য তিনি প্রত্যেক পূজা উদযাপন কমিটিকে পূজামন্ডপে ইন ও আউটের জন্য আলাদা ব্যবস্থা, মন্ডপের ভিতরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখা, সিসিটিভি-আর্চওয়ে স্থাপন এবং পুরুষের পাশাপাশি মহিলা স্বেচ্ছাসেবক রাখার নির্দেশ দেন । এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকলে এবং পুরুষের সাথে সাথে মহিলা স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা মহিলাদের তল্লাশি করে মন্ডপে প্রবেশ করালে নাশকতা, ইভটিজিং, ছিনতাই হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে ।
পূজামন্ডপের আলোর ব্যবস্থা প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন- পূজামন্ডপের বাহিরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করবে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং মন্ডপের ভিতরে জেনারেটরসহ আলোর ব্যবস্থা করবে সংশ্লিষ্ঠ পূজা উদযাপন কমিটি । সিটি কর্পোরেশন উদ্দেশ্যে তিনি বলেন এবারে লালকুঠি ও ওয়েজঘাটে অবশ্যই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে যেন বিসর্জন এর দিনে কোন ব্যাঘাত না ঘটে ।
পূজা উদযাপন কমিটিকে তিনি বলেন-এবার বিসর্জনের দিন অবশ্যই ৩ টার মধ্যে প্রতিমা নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিসর্জন ঘাটে রওয়ানা দিতে হবে এবং রাত ৮টার মধ্যে শেষ করতে হবে। বিসর্জনের দিনে যদি কোন পূজা উদযাপন কমিটি প্রতিমা বিসর্জন না দেয় তাহলে তার দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কমিটির।
বড় বড় পূজা মন্ডপে ডগ স্কোয়ার্ড দিয়ে সুইপিং করার জন্য ডিএমপি’র ডগ স্কোয়ার্ড ইনচার্জকে নির্দেশ দেন এবং র্যাবকেও সুইপিং করার জন্য অনুরোধ করেন।
পরিশেষে মহানগর পূজা উদযাপন কমিটি ও পবিত্র আশুরা মিছিল উদযাপন কমিটির প্রতিনিধিদেরকে কো-অপারেশন করে উভয়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার করার জন্য আহবান জানান ডিএমপি কমিশনার ।