থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক ধুলাবালির দূষণে ঢেকে গেছে। এ দূষণ মোকাবেলায় কর্তৃপক্ষ কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানোর আয়োজন করেছে। ক্লাউড সিডিং পদ্ধতিতে এ বৃষ্টিপাত ঘটানো হবে।
আবহাওয়া পরিবর্তনের কৌশল কাজে লাগিয়ে মেঘকে ঘনীভূত করে বৃষ্টিপাত ঘটানো হয়। এ পদ্ধতিকে ক্লাউড সিডিং পদ্ধতি বলে। এতে বিমানের সাহায্যে বাতাসে রাসায়নিক দ্রব্য ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে মেঘ ঘনীভূত হয়ে একপর্যায়ে বৃষ্টিতে পরিণত হয়। থাইল্যান্ডের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক প্রালং ডুমরংথাই বলেন, ‘আশা করা হচ্ছে, আজ মঙ্গলবারের মধ্যে রয়াল রেইনমেকিং অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল এভিয়েশন বিভাগ কাজ শুরু করবে। তবে সব কিছু বাতাস এবং আর্দ্রতার মাত্রার ওপর নির্ভর করছে।’
রাজধানী ব্যাংককে ব্যাপক হারে ভবনসহ অন্যান্য নির্মাণকাজ চলছে। এতে শহরের বেশির ভাগ এলাকা সারাক্ষণই ধুলাবালিতে পূর্ণ থাকছে। অন্য সব দিনের মতো গতকাল সোমবার দিনটাও শুরু হয়েছে ধুলায় ধূসরিত হয়ে। পরিবেশবাদী সংস্থা গ্রিনপিস জানিয়েছে, ব্যাংকক বর্তমানে বিশ্বের দশম দূষিত শহর। বর্তমানে শহরটিতে চীনের কয়েকটি শহরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে চলেছে।
নির্মাণকাজের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ গাড়ির ধোঁয়া, শহরের বাইরে কৃষকদের ক্ষেতের ফসলের অবশিষ্ট অংশ পোড়ানোর ধোঁয়া এবং কলকারখানার ধোঁয়ায় অবস্থা আরো নাজুক হয়ে পড়েছে ব্যাংককের শহর। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁচ্ছাছে যে থাইল্যান্ডের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দূষণ সম্পর্কিত হ্যাশট্যাগে ছেয়ে গেছে। টেলিভিশন থেকে মাস্ক ব্যবহারেরও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
প্রালং ডুমরংথাই বলেন, ‘আমাদের শহরে দূষণের মাত্রা বেশি, তবে তা ঝুকিপূর্ণ নয়। সব সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে দূষণের মাত্রাটা এখনো এত বেশি পর্যায়ে পৌঁছায়নি।’ অন্যদিকে গ্রিনপিসের থাইল্যান্ডের পরিচালক তারা বুয়াকামসারি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের এখনই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যেসব এলাকায় উচ্চমাত্রার ঝুঁকি রয়েছে, সেখানে গাড়ির সংখ্যা কমিয়ে এবং স্কুল-কলেজ বন্ধ করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ব্যাংককে দূষণের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। আমাদের এখন আরো বেশি দক্ষ ব্যবস্থাপনা দরকার।’ সূত্র : এএফপি।