নিজেদের বিমান বাহিনীর জন্য দেশীয় প্রযুক্তিতে নকশা করা কাউসার যুদ্ধ বিমানের উৎপাদন শুরু করেছে ইরান। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে চলছে ঠান্ডাযুদ্ধ। এই অবস্থায় দেশীয় প্রযুক্তিতে যুদ্ধবিমান উৎপাদন শুরু করল ইরান।
এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আমির হাতামি উৎপাদন কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন। সেই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “শিগগিরই প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিমান তৈরি করে বিমান বাহিনীকে সরবরাহ করা হবে।”
কাউসার ‘শতভাগ স্থানীয়ভাবে তৈরি’ বিমান বলে জানিয়েছে ইরান। এটি বহু ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা বহন করতে সক্ষম এবং স্বল্প পাল্লার এরিয়াল সার্পোট মিশনে এটি ব্যবহার করা হবে জানিয়েছে তারা। তবে কিছু সামরিক বিশেষজ্ঞের ধারণা, এই যুদ্ধ বিমানটি ১৯৬০’র দশকে যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত এফ-৫ যুদ্ধ বিমানের কার্বন কপি।
ইরানের বিমান শক্তি সীমিত। দেশটি প্রধানত হামলা চালানোর সক্ষমতা সম্পন্ন কয়েক ডজন বিমান ব্যবহার করে যেগুলো হয় রাশিয়ার তৈরি অথবা পুরনো মার্কিন মডেলের যুদ্ধ বিমান যেগুলো ১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের আগে কেনা হয়েছিল।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে দেশটিতে অস্ত্র ও কয়েক হাজার সেনা পাঠিয়েছে ইরান। কিন্তু নিজেদের শক্তিশালী বিমান বাহিনী না থাকায় এরিয়াল সাপোর্টের জন্য তাদের রাশিয়ার ওপর নির্ভর করতে হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে কাহের ৩১৩ নামের স্থানীয়ভাবে তৈরি নতুন একটি যুদ্ধ বিমান নামিয়েছিল ইরান। কিন্তু ওই সময়ই বিমানটির কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন কিছু বিশেষজ্ঞ।