যশোরের অভয়নগর উপজেলা ভূমি অফিসে প্রবেশ করলেই নতুন একটি উদ্যোগ চোখে পড়বে। কিন্তু দেখে মনে হবে এর সঙ্গে সততার সম্পর্ক কী? আর নাম-ই বা কেন সততা পয়েন্ট ? কৌতূহল মিটবে একটু সামনে এগুলেই। ‘নিজ দায়িত্বে ২০ টাকা জমা দিয়ে একটি কোর্ট ফি সংগ্রহ করুন। আপনার সততা আমাদের উৎসাহিত করবে’- কথাগুলো লেখা রয়েছে উপজেলা ভূমি অফিসের ঐ বারান্দায়।
এমন আয়োজনের উদ্দেশ্য কী, জানতে চাইলে এই পন্থা যিনি শুরু করেছেন সেই সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনদীপ ঘরাই বলেন, ‘দুটো উদ্দেশে এ আয়োজন। প্রথমত, যারা সেবা নিতে আসেন তাদের জন্য বিষয়টি সহজ হবে। অন্যদিকে, সততার অভ্যাস শুধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকবে কেন? সেবাপ্রত্যাশীদের মধ্যেও এ শুদ্ধাচার থাকা দরকার। প্রয়োজন এই শুদ্ধাচার তাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া।’
জানা গেছে, ভূমি অফিসে সেবাপ্রত্যাশীদের বিভিন্ন সেবার জন্য আবেদন করতে প্রয়োজন হয় কোর্ট ফি। যারা কোর্ট ফি সঙ্গে করে নিয়ে আসেন না তাদের পোহাতে হয় বিভিন্ন দুর্ভোগ। কিন্তু এ অবস্থা এখন অনেকটাই পাল্টে গেছে। এই পাল্টে যাওয়াটা সম্ভব হয়েছে সততা পয়েন্টের মাধ্যমে। সততা পয়েন্টে রাখা দুটো বাক্স। একটিতে উন্মুক্তভাবে কোর্ট ফি রাখা। অপরটি মূল্য পরিশোধের জন্য। জনগণ নিজে থেকেই কোর্ট ফি নিয়ে পাশের বাক্সে মূল্য পরিশোধ করবেন। থাকবে না কোনও নজরদারি। ফলে এটাকে সততা পয়েন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
সততা পয়েন্ট যাত্রা শুরু করে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল। এ পর্যন্ত ৪২২টি কোর্ট ফি সততা পয়েন্টের মাধ্যমে নিয়েছেন সেবাপ্রত্যাশীরা। তবে, যেকোনও কারণেই হোক, ঘাটতি আছে মাত্র ১৫ টাকা।
একদিন দেশের সব ভূমি অফিসে গড়ে উঠবে সততা পয়েন্ট হবে এমনই সপ্ন দেখেন এই ভূমি সহকারী কমিশনার।