‘হেমানজিওমা’ রোগে আক্রান্ত শিশু মুক্তামনির হাতে তৃতীয় দফায় অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে। এর আগে গত ১২ আগস্ট প্রথম দফায় অস্ত্রোপচারের পর ২৯ আগস্ট তৃতীয় দফায় অস্ত্রোপচার করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় মুক্তামনিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী ও মুক্তামনির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. সামন্তলাল সেন জানান, গত ২৯ আগস্ট বার্ন ইউনিটে তার তৃতীয় দফায় অস্ত্রোপচার শুরু হয়। ২০ শতাংশের মতো শেষ হওয়ার পর জ্বর আসায় অস্ত্রোপচার মুলতবি রাখা হয়। মঙ্গলবার ফের তার অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাশদাহ গ্রামের দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন ও আসমা খাতুন দম্পতির মেয়ে মুক্তামনির ডান হাতে প্রথমে টিউমারের মতো হয়। ছয় বছর বয়স পর্যন্ত টিউমারটি তেমন বড় হয়নি। কিন্তু পরে তার হাতটি ফুলে অনেকটা কোলবালিশের মতো হয়ে যায়! একপর্যায়ে হাতে পচন ধরে। সাদা রঙের শত শত পোকা ঘুরে বেড়াতে থাকে সেই ফুলে যাওয়া অংশে। শরীরের অসহ্য ব্যথা ও যন্ত্রণায় মুক্তামনি বসতেও পারতো না। হাতের সঙ্গে বুকের একাংশেও ছড়িয়ে পড়ে রোগটি। দীর্ঘ নয় বছরেও মুক্তার রোগ ধরতে পারেননি চিকিৎসকরা। এরপর সংবাদমাধ্যমে তার কথা উঠে এলে গত ১১ জুলাই মুক্তামনিকে ভর্তি করা হয় ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।