ডিএমপি নিউজ : দাবদাহ,ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন পানিবাহী রোগে আক্রান্ত হলে চাহিদা বাড়ে টেস্টি ও ওরস্যালাইনের। মানুষের এই চাহিদার কথা বিবেচনা করে রাজধানীতে নকল স্যালাইন বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র। আর স্যালাইন বানাতে ব্যবহার করতেন চিনি ও লবণ । শুক্রবার রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো – সজিব মিয়া, মো. রিয়াদ ও সামসুল আলম। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে দুই হাজার ৮০০ প্যাকেট নকল স্যালাইন উদ্ধার করা হয়।
শনিবার দুপুরে ডিবি কম্পাউন্ডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) বলেন, দাবদাহ ও ডেঙ্গু রোগকে পুঁজি করে এই চক্র রাজধানীতে তৈরি করছিল নকল স্যালাইন। তারা এসএমসি স্যালাইন ব্র্যান্ডকে নকল করে এনএমসি লিখে মোড়ক বানাতো। তবে প্যাকেটের কালার, সাইজ ও বক্স দেখে পরখ করার কোনো উপায় নেই এটি আসল না নকল। চক্রটির তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও একজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ৮০০ প্যাকেট নকল স্যালাইন জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া সাত কার্টন টেস্টি স্যালাইন উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও বাকিগুলো তারা কোথায় কোথায় দিয়েছে কোন ফার্মেসিতে বিক্রি করেছে তা জানার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন বলেন, চক্রটি মানবতার ফেরিওয়ালা সেজে এসব নকল স্যালাইন বিক্রি করছিল। আবার যারা আসল মানবতার সেবক তারাও তাদের কাছ থেকে কিনছে। তারা ঢাকাসহ ঢাকার বাইরে খেটে খাওয়া মানুষজনের মধ্যে বিতরণ করেছে ওসব নকল স্যালাইন। মানুষও এগুলো খাচ্ছে। মানুষ সাধারণত ডায়ারিয়ায় পানি শূন্যতায় ভোগে। শরীরে ইলেকট্রলাইট বের হয়ে যায়। তখন মানুষ স্যালাইন খায়। এ নকল স্যালাইন খাওয়ার পর ভালোর চেয়ে খারাপই বেশি হয়। কিডনি, হার্ট, লিভার সমস্যা বেড়ে যায়। এমনকি ব্রেন ড্যামেজও হতে পার বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা এসব নকল ওরস্যালাইন তৈরি করছে মর্মে স্বীকার করেছে।