স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন নির্ভর ট্যাক্সি সার্ভিস নিয়ে উবারের মতো বাংলাদেশে আসছে ভারতের ওলা ও দুবাইভিত্তিক কারিম। ইতোমধ্যে এদেশে মার্কেট পর্যালোচনা শুরু করছে তারা। দেশীয় কয়েকটি কোম্পানিও নামছে রাইড শেয়ারিং অ্যাপস্ নিয়ে। রাজধানী ঢাকায় অ্যাপস্ ব্যবহার করে মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং করছে স্যাম, পাঠাও, বাই-কারস আমার রাইড, ঢাকা মটো ও ইয়েস বাইক।
তবে বিআরটিএর খসড়া নীতিমালায়, একসঙ্গে একাধিক অ্যাপস ব্যবহার করে সেবা দেওয়া যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা রাইড শেয়ারিং বৈশ্বিক ধারণার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ- বলছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা আরও বলছেন, এ নিয়ম মোটরসাইকেল ছাড়া অন্য মোটরযানের ক্ষেত্রে হতে পারে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ নীতিমালা নিয়ে জনমতামত গ্রহণ শেষে সংশ্লিষ্টদের বৈঠকে ডাকবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। শেষে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় অনুমোদিত হবে নীতিমালা।
এদিকে ওলা আসতে চাচ্ছে শিগগিরই। থাইল্যান্ডের জনপ্রিয় গ্রেব বলছে, তারাও আসবে। বিদেশি এসব প্রতিষ্ঠান ছাড়াও দেশি কয়েকটি রাইড শেয়ারিং কোম্পানিও আসছে শিগগিরই।
আগামী আগস্ট মাস থেকে নামছে মোবাইল অ্যাপস্ ইজিয়ার। গাড়ি, বাইক কিংবা অ্যাম্বুলেন্স অন ডিমান্ড বুক করা যাবে এ অ্যাপস্ থেকে। আরেকটি দেশি কোম্পানি টপ আই মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও রেন্ট-এ কারের সকল গাড়ির সমন্বয়ে নামাচ্ছে হ্যালো। দেশি কুরিয়ার সার্ভিস লজিস্টিকও আসতে চাচ্ছে বাইক-ট্যাক্সি সার্ভিস নিয়ে।
আরও একটি প্রতিষ্ঠান দুই একদিনের মধ্যে নাম প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট একজন। দেশে প্রথম মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ার ধারণা নিয়ে গত বছর যাত্রা শুরু করে শেয়ার এ মোটরসাইকেল (স্যাম)। তারপরই ট্যাক্সি সার্ভিস নিয়ে নামে উবার। এরপর নামে পাঠাও। ঢাকায় এসব সেবা দ্রুত জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে।