সবজি, ফুল, চিনি ও অন্যান্য মিষ্টিজাতীয় পণ্য উৎপাদন কৃষিভিত্তিক শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। আগের ৩৭ শিল্প খাতের সঙ্গে নতুন করে তিনটি খাতকে কৃষিভিত্তিক শিল্পের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।
এর ফলে এসব পণ্য উৎপাদনে নারী ও নতুন উদ্যোক্তা ছাড়াও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ পাবেন। নতুন তিন খাত হলোথ চিনি ও অন্য মিষ্টিজাতীয় পণ্য উৎপাদনকারী শিল্প, সয়াফুড উৎপাদন ও সয়াবীন প্রসেসিং শিল্প, হর্টিকালচার, ফ্লোরিকালচার, ফুলচাষ, ফুল ও শাকসবজি বাজারজাতকরণ (লেবু, মাশরুম, পান, মধু ইত্যাদি এ শিল্পের অন্তর্ভুক্ত)। বাংলাদেশ ব্যাংক সংশোধিত এ তালিকা প্রকাশ করেছে। এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, কৃষিজাতপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য মফস্বলভিত্তিক শিল্প স্থাপনে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম, কৃষিভিত্তিক শিল্প, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা (নারী উদ্যোক্তাসহ) এবং কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র খাতে নতুন উদ্যোক্তা এবং ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক অর্থায়নের বিপরীতে পুনঃঅর্থায়ন তহবিল সংশ্লিষ্ট কৃষিভিত্তিক শিল্পের নতুন এ তালিকা করা হয়েছে।
নতুন তিনটি খাত অন্তর্ভুক্ত করায় এ তিন খাতও পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় এসেছে। এর আগে থেকে প্রক্রিয়াজাত ফলজাতীয় খাদ্য (জ্যাম, জেলি, জুস, আচার, সস ইত্যাদি) উৎপাদনকারী শিল্প; ফল (টমেটো, আম, পেয়ারা, ইক্ষু, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, নারিকেল ইত্যাদি), শাক-সবজি ও ডাল প্রক্রিয়াকরণ; ব্রেড ও বিস্কুট, সেমাই, লাচ্ছা, চানাচুর, নুডলস ইত্যাদি প্রস্তুত, আটা, ময়দা, সুজি প্রস্তুতকরণ, মাশরুম, স্পিরুলিনা প্রক্রিয়াকরণ, স্টার্চ, গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ এবং অন্য স্টার্চ পণ্য উৎপাদনকারী শিল্প; দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ, আলু থেকে নানা ধরনের খাদ্য প্রস্তুত, হারবাল ও ইউনানি ওষুধ প্রস্তুত, কৃষি যন্ত্রাংশ তৈরি চা প্রক্রিয়াকরণ, ফুল সংরক্ষণ, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু পালন, পাটজাত পণ্য প্রস্তুত, জৈব সার তৈরি, মৌমাছি, মাশরুম ও রেশম চাষ, কাঠ, বাঁশ ও বেতের আসবাব তৈরিসহ ৩৭ খাতকে ঋণ সহায়তা দেয়া হয়।
২০০১ সালে ১৫০ কোটি টাকা নিয়ে ‘কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য মফস্বলভিত্তিক শিল্প স্থাপনে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম’ নামে এ তহবিল গঠন করা হয়।