রাজপরিবারের কনিষ্ঠতম রাজকুমারের জন্য আসছে এখন উপহার সামগ্রী। ব্রিটেনের রাজপরিবারের কনিষ্ঠতম সদস্য হিসেবে ৬ মে আগমন ঘটেছে ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি এবং ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল দম্পতির প্রথম সন্তানের।
ব্রিটিশ সিংহাসনের সপ্তম উত্তরাধিকারী এবং রানি এলিজাবেথের অষ্টম পুতির জন্মের পর সারা বিশ্ব থেকে শুভেচ্ছা বার্তায় অভিনন্দন জানানো হয়েছে বাবা ও মাকে।
রাজকুমারের আরামদায়ক ঘুমের জন্য মার্কিন কোম্পানি ‘হ্যাপিয়েস্ট বেবি’ পাঠিয়েছে মশারিঘেরা সুন্দর একটি স্লিপার বিছানা। ‘স্নু স্মার্ট স্লিপার’ নামের এই উপহারটি নিশ্চিতভাবেই হ্যারি-মেগান দম্পতিকে শিশুর লালন পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ১৩শ ডলারের এই স্মার্ট স্লিপারটি বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিভিত্তিক একটি বিছানা। এটি প্রথম বাজারে আসে ২০১৬ সালে। স্লিপারটিতে রয়েছে ওয়াইফাই, সেন্সর, মাইক্রোফোনসহ আধুনিক সব প্রযুক্তি। এটি বাচ্চাকে দুলিয়ে দুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেবে। বাচ্চা কেঁদে ওঠার সাথে সাথে এটি দুলতে শুরু করবে; যা কিনা বাচ্চার কান্না থামিয়ে দেবে। ওয়াইফাই প্রযুক্তির সাহায্যে দূরে বসেও বাবা-মা সন্তানের অবস্থা জানতে পারবেন।
হ্যারি-মেগান দম্পতির সন্তানের জন্য স্প্যানিশ ডিজাইন স্টুডিও ‘মিকুনা’ তৈরি করেছে সৌম্য এবং নান্দনিক এক হাইচেয়ার, যেটি চাইলে বদলেও ফেলা যাবে। ‘মিকুনা ওভো হাইচেয়ার’ নামের আসনটি সাদা রঙের এবং গোলাকৃতির। আসনের মধ্যে রয়েছে বিশেষ ধরনের বেল্ট; যা দিয়ে শিশুকে সুন্দরভাবে চেয়ারের ভেতরে বসিয়ে রাখা যাবে। পরবর্তীতে শিশু হাঁটা শুরু করলে এই হাইচেয়ারকে বদলে ফেলা যাবে ডেস্ক চেয়ারেও।
বিবাহ অভ্যর্ত্থনার সন্ধ্যায় মেগান মার্কেল পরেছিলেন ব্রিটিশ ফ্যাশন ডিজাইনার স্টেলা ম্যাককার্টনির ডিজাইন করা গাউন। মেগানের সন্তান জন্মের পর তার জন্যও উপহার পাঠিয়েছেন স্টেলা ম্যাককার্টনি। ব্রিটিশ রাজপরিবারের সাথে যুক্ত হওয়ার পর মেগান সব সময়ই পরিবেশবান্ধব ডিজাইনের পোশাক পরেছেন। এবার মেগানের ছেলের জন্যও অর্গানিক উপাদানে তৈরি পোশাক পাঠিয়েছেন স্টেলা ম্যাককার্টনি।
ব্রিটিশ ডিজাইন কোম্পানি ‘ব্লোন্ড’ হ্যারি-মেগান দম্পতির জন্য পাঠিয়েছে অত্যাধুনিক একটি বেবি বোতল ‘বোর্ন বটল’। বোতলটি পুরোপুরি সিলিকনের তৈরি, যেটি বিপিএ মুক্ত এবং মেডিক্যালি নিরাপদ। শিশুর খাবার এবং পানীয় গ্রহণের ক্ষেত্রে বোতলটি পুরোপুরি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যসম্মত।
আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলোর সাথে মেগান এবং হ্যারির গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সম্পর্কের শুরুর দিকে ২০১৬ সালে তারা এক সাথে সফর করেছিলেন আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায়। এরপর ২০১৭ সালে মেগানের ৩৬তম জন্মদিন উদযাপনেও তারা গিয়েছিলেন সেখানে। এক বছর পর ২০১৮ সালে মধুচন্দ্রিমায় তারা গিয়েছিলেন পূর্ব আফ্রিকায়। ডাচেস অব সাসেক্স ও ডিউক অব সাসেক্সের আফ্রিকার প্রতি এই ভালোবাসার জন্য সুইজারল্যান্ডের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘ভিটরা’ পাঠিয়েছে আফ্রিকার প্রতিনিধিত্ব করা প্রাণী হাতির একটি খেলনা।
বেলজিয়ামের কোম্পানি ‘ইকোবার্ডি’ রাজকুমারের জন্য পাঠিয়েছে দ্য রাইনো ল্যাম্প। এছাড়া মার্কিন ডিজাইনার জেরেমি স্কট এবং জার্মান ফার্ম সাইবেক্স পাঠিয়েছে কালো রঙের দারুণ একটি অত্যাধুনিক স্ট্রলার।— সিএনএন