ডিএমপি নিউজ : বাসযাত্রীদের নিরাপদে বাসে ওঠা-নামার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ঢাকা মহানগরীর কাকলী বাস স্ট্যান্ডে একটি পাইলট প্রকল্প গত ৪ সেপ্টেম্বর শুরু হয়, শেষ হয় ২৭ সেপ্টেম্বর। ডিএমপির এই প্রকল্পটি চালিয়ে যাবার পক্ষে ৯৮% বাস ব্যবহারকারী তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। প্রকল্পটি জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহযোগিতায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) কারিগরি সহায়তায় বাস্তবায়ন করেছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আগে এবং বাস্তবায়নকালে, প্রকল্পের স্থানটিতে (কাকলী বাস বে) বাসের জন্য অপেক্ষারত ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষের মধ্যে বাস ব্যবহার সম্পর্কিত প্রশ্ন নিয়ে জরিপ করা হয়েছিল। ডিআরএসপি টিম তাদের অভ্যন্তরীণ এক্সপার্ট টিম দিয়ে নিরীক্ষাটি চালিয়েছিল। পরীক্ষামূলক প্রকল্প প্রস্তুতি পর্বের সময় ৯৩% বাস ব্যবহারকারীর মতামত ছিল, বাসে চড়া পর্যন্ত নিরাপদ ছিল না। যেখানে কাকলিতে নিরাপদ বাসে চড়ার অভিজ্ঞতার পরে ৬৩% বাসব্যবহারকারী এটিকে নিরাপদ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এছাড়াও ৯০% এরও বেশি বাস ব্যবহারকারী অভিমত দিয়েছেন যে, এই পরীক্ষামূলক প্রকল্পটি কাকলী বাসস্ট্যান্ডের পরিস্থিতির উন্নতি করেছে।
বাসচালক ও যাত্রীদের আচরণ পরিবর্তন করতে উদ্বুদ্ধ করা এবং ভাল আচরণ চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করার জন্য একাধিক পন্থা অবলম্বন করা হয়েছিল- যেমন লিফলেট বিতরণ, বাস ব্যবহারকারীদের সচেতনতা বার্তা প্রদান, বাসের লাইনম্যান এবং ডিএমপির মধ্যে মতামত বিনিময়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের স্থাপন করা “বাসস্টপ”মার্কিং করা জায়গায় বাস থামাতে বাসচালককে সহায়তা করা।
একটি বিষয় লক্ষ্য করা গেছে যে, প্রথম দিন থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাসচালক এবং ব্যবহারকারী উভয়ই নিরাপদে বাস ব্যবহারের গুরুত্ব স্বীকার করে তাদের আচরণ পরিবর্তন করেছেন।
প্রকল্পটির লক্ষ্য ছিল বাসচালক এবং বাস ব্যবহারকারী উভয়েরই মানসিকতা পরিবর্তন করা যাতে করে বাস ব্যবহারকারীরা রাস্তা ব্যবহারের নিরাপদ আচরণে অভ্যস্ত হতে পারে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নকালে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে এই উদ্যোগ সম্পর্কে কিছু মন্তব্যও পাওয়া গেছে। ডিআরএসপি টিম সেগুলিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেছে এবং ডিএমপির সাথে কাজ করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু কিছু বাস নির্ধারিত স্থানে প্রবেশ করেনি এবং যাত্রীদের বাসে উঠায়নি। বাস লাইনম্যানের মাধ্যমে ট্রাফিক পুলিশ নির্দেশনা প্রদান করে এটি বন্ধ করেছে। সড়ক নিরাপদ করতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শুধু ডিএমপি বা সিটি করপোরেশন নয়, বাসের চালক এবং ব্যবাহারকারীরা একসঙ্গে কাজ না করলে অবিলম্বে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে না।
জরিপে বেশির ভাগ বাস ব্যবহারকারী বাসে উঠানামার এই কার্যক্রমকে নিরাপদ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং এ ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে মত প্রকাশ করেন। নির্দেশিকা প্রদান এবং বাস বে ব্যবহার চালিয়ে যাওয়ার জন্য ডিএমপি ট্রাফিক পুলিশ এখনো কাজ করছে।
ডিএমপি আশা করে, বাস ব্যবহারকারী এবং বাসচালকরা নিরাপদ বাসে চড়ার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন। ডিআরএসপি টিম এই পরীক্ষামূলক প্রকল্পটি সফল করার জন্য ডিএমপি, বাসচালক, বাস ব্যবহারকারী ও অনান্য অংশীজনকে তাদের সহযোগীতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে।