নিরামিষ খাওয়া বাঙালির সংখ্যা হাতে গোনা। পাতে মাছের ঝোল না হলে ভোজনরসিক বাঙালির জমে না। আমিষভোজী হলে সুবিধাও অনেক। সহজেই শরীরে প্রোটিনের জোগান মেলে। প্রোটিন শরীর গঠনে সাহায্য করে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিরামিষাশীদের সুবিধা আরও বেশি। নিরামিষ শরীরের পক্ষেও ভাল।
আমিষ খেলে শরীরে টক্সিক উপাদান ঢোকে। মাংস খেলে শরীর থেকে অ্যামোনিয়ার কটূ গন্ধ আসে। নিরামিষাশী হলে সেই সমস্যা নেই। মাছ, মাংস, ডিম কোলেস্টেরল বাড়ায়। ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর। অন্যদিকে ফলে পাওয়া যায় প্রাকৃতিক শর্করা। যা এনার্জিবর্ধক। বেশি এনার্জি মানেই বাড়বে স্ট্যামিনা।
সমীক্ষায় এও জানা গিয়েছে, ফল শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। নিরামিষ খেলে ত্বক কোমল থাকে। নিরামিষ যাঁরা খান, তাঁদের খাদ্য তালিকায় ফল বেশি থাকে। আর ফলে থাকে প্রচুর জল। সেই জল শরীরকে কোমল করে তোলে। মাংসে থাকে ফ্যাট। যা ত্বককে করে তোলে তৈলাক্ত।
হাই ক্যালোরি ডায়েট কোলেস্টেরোল বাড়ায়। হতে পারে ক্যানসার, ডায়াবেটিসের মতো মারণ রোগ। অন্যদিকে, নিরামিষ ডায়েটে থাকে বেশি ভিটামিন ও খনিজ। তা শরীর ও মনকে সুস্থ রাখে।
যাঁরা নিরামিষ খান, তাঁরা সাধারণত পশুপ্রেমী হন। তাঁদের মনটাও সুন্দর হয়। আর কে না চায়, হৃদয়বান মানুষের সঙ্গে সময় কাটাতে! ফল–শাকসবজি খেলে শরীর থেকে বেশি করে সেরোটোনিন হরমোন নিঃসরন হয়। তাতে মনও খুশি থাকে।