জলপাই একটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। জলপাই এর অসাধারণ স্বাদ ও পুষ্টিগুণ সারা বছর ধরে মানুষের মনে থেকে যায়। খাবার হিসেবে আমরা সবাই কমবেশি জলপাই কিংবা জলপাইয়ের তেল খেয়ে থাকি। জলপাইয়ের রয়েছে বহুবিধ উপকারিতা। জলপাই-এ নানা পুষ্টিকর উপাদান, যেমন- ভিটামিন, মিনারেল অর্থাৎ খনিজ পদার্থ এবং ভেষজ উপাদান, আয়রন, খাদ্যআঁশ, কপার, ভিটামিন-ই, ফেনোলিক উপাদান, অলিক অ্যাসিড এবং বিভিন্ন প্রকারের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বিদ্যমান।
পঞ্চগড় জেলায় এ ফলটির চাষ বেড়েছে। শুরু হয়েছে জলপাই বিক্রি। জলপাই চাষ এ জনপদের মানুষদের অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ হওয়ার এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
দেবীগঞ্জে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪ লাখ টাকার জলপাই বিক্রি হচ্ছে। মাসে হচ্ছে ১ কোটি টাকার ওপরে। প্রতি কেজি জলপাই প্রকারভেদে ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেবীগঞ্জ থেকে প্রতিদিন ৫শ মণ বা তারও বেশি জলপাই কেনা হয়ে থাকে।
কমপক্ষে ১০০ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জলপাই কিনে জেলার বাহির থেকে আসা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। প্রতিদিন ২টি করে ট্রাক জলপাই লোড করে নিয়ে যান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ২০ টাকা কেজি হিসেবে মণ হয় ৮শ টাকা, ৫শ মণের দাম হচ্ছে ৪ লাখ টাকা। এভাবে জলপাই বেচা-কেনা চলবে প্রায় ৩ মাস যাবত। সে অনুযায়ী দেবীগঞ্জের বাজার থেকে জলপাই বিক্রি হবে প্রায় সাড়ে ৩ কোটির টাকার কাছাকাছি।
কার্তিকের প্রথম থেকে জলপাই বাজারে আসা শুরু করেছে, চলবে পুরো পৌষ মাস পর্যন্ত। তবে মাঝখানে এর আমদানি আরও বাড়বে, এমন ধারণা ব্যসায়ীদের।
পঞ্চগড়ে জলপাই বাণিজ্যিক হিসেবে আবির্ভুত হতে চলেছে। জলপাইর গাছ লাগাতে পারলেই হয়। খুব বেশি পরিচর্চার প্রয়োজন হয় না। দিতে হয় না সার ও সেচ। ফলে এটি একটি লাভজনক ফল বাগান। ফলনও ভাল। কমপক্ষে একটি গাছে এক থেকে দেড় মণ জলপাই ধরে।
জলপাইর ক্রমবর্ধমান চাহিদা ভবিষ্যতে এ জেলার অর্থনীতিতে আরও ব্যাপক গতি সঞ্চার করবে মর্মে আশাবাদ এ কৃষি কর্মকর্তার। বাসস