কঠিন লক্ষ্যে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। রানের খাতা না খুলতেই তারা হারায় ২ উইকেট। মর্নে মরকেলের পেসে ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ ও শেষ বলে আউট হন তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হক। ৪ বল খেলে সরাসরি বোল্ড হন তামিম। দ্বিতীয় বলে মুমিনুলের এলবিডাব্লিউ।
মরকেল তার পরের ওভারে তৃতীয় উইকেট পেতে পারতেন, কিন্তু পায়ের নো বলের কারণে মুশফিকুর রহিমের বোল্ড বাতিল হয়। জীবন পাওয়া বাংলাদেশি অধিনায়কের সঙ্গে ইমরুল কায়েস ওই ধাক্কা সামাল দিচ্ছিলেন। তবে চা বিরতির ঠিক আগেই কেশব মহারাজের বলে কুইন্টন ডি ককের হাতে ক্যাচ দেন তিনি ৩২ রান করে। ১৫.৩ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৪৯ রানে চা বিরতিতে যায় সফরকারীরা। পরে আর মাঠে নামতে পারেনি কোনও দল।
এর আগে চতুর্থ দিন দ্বিতীয় সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ৬ উইকেটে ২৪৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটে ৪৯৬ রান করার পর বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় প্রোটিয়ারা। জবাবে প্রথম ইনিংসে ৩২০ রান করেছিল সফরকারীরা।
২ উইকেটে ৫৪ রানে দিনের খেলা শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৩০ রানের লিডকে তারা বাড়িয়ে নিয়েছে দ্বিতীয় সেশনেরও কিছু সময় পর্যন্ত। দিনের শুরুতেই হাশিম আমলাকে ((২৮) লিটন দাসের ক্যাচ বানান মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর তেম্বা বাভুমাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে যান ফাফ ডু প্লেসিস। দেড়শ রানের জুটির আভাস দিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় তারা। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই অনিয়মিত বোলার মুমিনুল হকের স্পিনে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় প্রোটিয়ারা। ১০ রানে হারায় ৩ উইকেট।
৮১ রানে মুমিনুলের এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন ডু প্লেসিস। রিভিউ নিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেননি প্রোটিয়া অধিনায়ক। ভাঙে ১৪২ রানের জুটি। এরপর নামে বৃষ্টি। আধা ঘণ্টা পর আবার শুরু হয় খেলা। যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখানেই শুরু করলেন মুমিনুল। তার আরও টানা দুই ওভারে বাভুমা ও কুইন্টন ডি কককে ফেরান তিনি। বাভুমা ৭১ রানে আউট হন।
২২২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আরও ২৫ রান দলীয় স্কোরবোর্ডে যোগ হলে ডু প্লেসিস ইনিংস ঘোষণা করেন।