রাজধানী ঢাকায় চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ অনেকখানি কমে এসেছে। পূর্বের মতো মহামারি আকারে না ছড়ালেও এখনও কেউ কেউ চিকুনগুনিয়ার শিকার হচ্ছেন। এদিকে চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস নিজেকে বদল করে নিচ্ছে বলে মতামত জানিয়েছেন বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
রাজধানীর খ্যাতনামা একটি হাসপাতালের একজন ফিজিওথেরাপিস্ট জানান, চিকুনগুনিয়ায় প্রথম দিকে যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের হাঁটু ও পায়ের গোড়ালিতে প্রচণ্ড ব্যথা হতো। একইসাথে হাতের কব্জি এবং আঙুলের গোড়ায়ও ব্যথা করেছে।
মাঝামাঝি সময়ে এসে যাদের চিকুনগুনিয়া হয় তাদের অনেকেরই ব্যথা হওয়ার স্থান ফুলে যায়। হাঁটু, গোড়ালি, কব্জি ফুলে গিয়ে ব্যথা দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়।
তবে শেষের দিকে এসে চিকুনগুনিয়ার ধরণ বদলে যেতে থাকে। এখন যাদেরই চিকুনগুনিয়া হচ্ছে তাদের প্রায় প্রত্যেকেরই বুকে ও কাঁধে ব্যথা হচ্ছে। বিষয়টি এখনও গবেষণায় প্রমাণিত নয় বলে এখনই এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান ওই ফিজিওথেরাপিস্ট।