শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, ‘এক সময় আমরা শিক্ষার প্রসারের উপর গুরুত্ব দিয়েছি এবং আমরা সফল হয়েছি। এই মুহুর্তে আমরা শিক্ষার গুনগত মান এবং অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দিচ্ছি। এ ক্ষেত্রে আমরা যখন সফল হব তখন পর্যায়ক্রমে মাদ্রাসা শিক্ষাসহ সকল শিক্ষা ব্যাবস্থাকে জাতীয়করণ করব।’
তিনি গতকাল সকালে রাজধানীর বসিলায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে মাদ্রাসায় উচ্চ শিক্ষা ব্যাবস্থার উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বর্ক্তৃতায় এ কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মুহাম্মাদ আহসান উল্লাহ’র সভাপতিত্বে সভায় আর ও বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিউদ্দিন আহমদ।
উপমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই মুহুর্তে নৈতিকতার অভাব আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যারা ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত পেশাগত জীবনে তারা নৈতিক হবেন দেশ ও সমাজ তাই আশা করে।’ তিনি ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত আলেম সমাজকে সর্বোচ্চ নৈতিক হওয়ার আহবান জানান।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘শারীরিক শাস্তি এক ধরনের ফৌজদারি অপরাধ। শৃঙ্খলা বিধান করার নাম করে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারীরিক শাস্তি দেওয়া উচিত নয়। তা কোন ভাবেই মেনে নেয়া হবে না।’
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিউদ্দিন আহমদ জানান, বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার বর্তমানে ৮ শতাংশ। এই অগ্রগতি ধরে রাখতে সবাইকে ভুমিকা রাখতে হবে। মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিতদের এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকলে চলবে না। মাদ্রাসার কেউ যেন বেকার না থাকে সেই ব্যাবস্থা করছে বর্তমান সরকার।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ১৮০০ মাদ্রাসায় ৪ তলা ভবন নির্মাণ করেছে এবং ৬৫৩ মাদ্রাসায় মাল্টিমিডিয়ার ক্লাসরুম চালু করেছে। মাদ্রাসায়ও স্কুলের মত উপবৃত্তি এবং স্কুল ফিডিং এর ব্যাবস্থা করা হবে। এমপিও’র কাজ মাদ্রাসা অধিদপ্তর করবে। আগামী মাস থেকে সব এমপিও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে চালু করা হবে।