পাকিস্তানের উপরে আবারও আর্থিক কোপ বসাল ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিচালিত আমেরিকা সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হল বিপুল পরিমাণ আর্থিক সাহায্য। এই নিয়ে গত তিন দিনে দুই ধাপে পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করার কথা ঘোষণা করল আমেরিকা।
মঙ্গলবার আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে নিরাপত্তা বাবদ পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্য স্থগিত করা হচ্ছে। যার মোট পরিমাণ ১.৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র কল রব ম্যানিং সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে রবিবারেও একই ধরনের ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। সেই সময় বছরে ১.৩ কোটি মার্কিন ডলার আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।
ওই কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “একটু ভাবুন, পাকিস্তানে সবাই জানত লাদেন কোথায় রয়েছে৷ পাকিস্তানকে বছরে ১.৩ কোটি ডলার দিচ্ছিলাম৷ অন্যদিকে লাদেনকে পাকিস্তান আশ্রয় দিয়েছিল৷ কিন্তু আর তাদের সেই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না৷”
মাস দুয়েক আগেও পাকিস্তানকে এই একই ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলেছিল আমেরিকা। গত সেপ্টেম্বরে মাসে ট্রাম্প পাকিস্তানকে ৩০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তাতে কোপ বসান৷ জঙ্গি আশ্রয় নিয়ে পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা করে পাকিস্তানকে সাহায্য প্রদান বন্ধ করছেন বলে ঘোষণা করেছিলেন তিনি৷
গত রবিবারে সন্ত্রাসবাস ইস্যুতে পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় তোলা হলে জবাব দিতে দেরি করেননি পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে লম্বা তালিকা ধরিয়ে পাল্টা তোপ দেগে বলেন, ‘‘আমেরিকার ব্যর্থতার জন্য এখন পাকিস্তানকে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে৷ আগে আমেরিকা আয়নায় নিজেদের মুখটা দেখুক৷’’
এদিন একের পর এক ট্যুইট করে আমেরিকাকে ইমরান মনে করিয়ে দেন তাদের জন্য পাকিস্তানকে কতটা ‘ত্যাগ স্বীকার’ করেছে৷ ট্যুইটে তিনি লেখেন, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে আমেরিকার লড়াইয়ে পাকিস্তানের ৭৫ হাজার মানুষ মারা গিয়েছে৷ বাড়ি ঘর খুইয়েছে৷ অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে৷ তারপরেও পাকিস্তান আমেরিকার পাশে থেকেছে৷ আর কোনও মিত্র দেশ এমন ত্যাগ স্বীকার করেছে? এমন বলির পাঁঠা আর কোথাও পাবে আমেরিকা? প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন পাক প্রধানমন্ত্রী৷