চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে পাকিস্তান ভুল করে বসে প্রথমেই। টস জিতে ব্যাটিং নেয় তারা। সিদ্ধান্তটা একদমই ভালো হয়নি পাকিস্তানের জন্য।
ভারতকে হারানোর যে স্বপ্ন নিয়ে আজ এজবাস্টনে খেলতে নেমেছিলো পাকিস্তান, সে স্বপ্নটা পূরণ হয়নি। বিরাট কোহলিদের কাছে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ১২৪ রানের বিশাল ব্যাবধানে হেরে গেছে তারা।
পাকিস্তানের এতো বড় হার হয়তো আশাই করেননি বিরাট কোহলিরা। কিন্তু আদতে হয়েছে তাই। এই ম্যাচ জেতার মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা ধরে রাখার মিশনটা দারুণভাবে শুরু করলো ভারত।
ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শেখর ধাওয়ান। ১৩৬ রানের জুটি গড়েন তারা।এতো বড় জুটি গড়ার পরও দুজনই আউট হন সেঞ্চুরি ছুঁতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে। রোহিত শর্মা আউট হন ৯১ রানে। আর শেখর ধাওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ৬৮ রান।
ভারতের ইনিংসে দুই তিনবার হানা দেয় বৃষ্টি। ফলে আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত নেন ইনিংসের দুই ওভার কমিয়ে দিতে। দুই ওভার না কমালে সেঞ্চুরি পেতে পারতেন বিরাট কোহলি। ৬৮ বলে ৮১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। চার নম্বরে নেমে মাত্র ৩২ বলে বলে ৫৩ রান করে যান যুবরাজ সিং। পাঁচ নম্বরে নামা হার্দিক পান্ডিয়া ছয় বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন। সব মিলিয়ে তিন উইকেট হারিয়ে ভারত করে ৩১৯ রান।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে একটি করে উইকেট পান হাসান আলি ও শাদাব খান। পাকিস্তানি পেসারদের এ দিন তেমন কোনো ভয়ানক রূপে দেখাই যায়নি।
জবাব দিতে নেমে আজহার আলি ছাড়া আর কোনো পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ভারতীয় বোলারদের বিপক্ষে দাপট দেখাতে পারেননি। আজহারের দাপটও স্থায়ী হয়েছে মাত্র ৫০ রান পর্যন্ত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন মোহাম্মদ হাফিজ। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৩ রান।
বৃষ্টির কারণে পাকিস্তানের পরিবর্তিত লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪১ ওভারে ২৮৯ রান। কিন্তু পাকিস্তান যেতে পেরেছে মাত্র ১৬৪ রান পর্যন্ত। উমেশ যাদব ভারতের হয়ে তিন উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট নেন রবিন্দ্র জাদেজা ও হার্দিক পান্ডিয়া। ম্যাচসেরার পুরস্কার পান যুবরাজ সিং।