ভোট পর্ব শুরু হতেই পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির খবর পাওয়া গেছে। বালুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২৮ জনের। এর মধ্যে রয়েছে দুইজন নিরাপত্তারক্ষীও। জানা গেছে, এদিন নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।
উল্লেখ্য, শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচন করতে বুধবারের পাক ভোটে ৮ লক্ষ নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এ বারের নির্বাচনে নজিরবিহীন নিরাপত্তায় ঢেকে দেওয়া হয়েছে স্পর্শকাতর বুথকে। তবে, অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন। ফি নির্বাচনের মতো এ বারও প্রাণহানির আশঙ্কায় এক হাজার কফিন বরাদ্দ করেছে কমিশন।
পেশোয়ারের ডেপুটি কমিশনার হামিদ শেখ জানিয়েছেন, ভোটের দিনের জন্য এক হাজার কফিন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে তৈরি কমিশন। হামিদ শেখের অভিযোগ, ভোটের দিনে অশান্তি ঘটাতে আফগানিস্তানের শরণার্থীরা সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করতে পারে।
নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন একাধিক হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। দেশ জুড়ে একশোর বেশি পাক নাগরিক বলি হয়েছে ভোটের আগেই। জনসভা করতে গিয়ে প্রকাশ্যে খুন হন বালুচিস্তানের আওয়ামি পার্টির নেতা সিরাজ খান রাইসানি। এ বারের নির্বাচনে ১০.৬০ কোটি পাক নাগরিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। যার মধ্যে ৫.৯০ কোটি পুরুষ এবং ৪.৭০ কোটি মহিলা ভোটার রয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারে একাধিক হিংসাত্মক ঘটনা ঘটায় বুধবার বিভিন্ন বুথে মোতায়েন করা হয়েছে রেকর্ড সংখ্যাক নিরাপত্তারক্ষী। সুষ্ঠ ও অবাধ ভোটগ্রহণ পর্ব সম্পন্ন করতে প্রায় ৮ লক্ষ নিরাপত্তারক্ষী নিযুক্ত করেছে পাক নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ৩.৭১ লক্ষ সেনা রয়েছে। জানা গিয়েছে, ভোটপ্রদান পর্ব চলবে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত।