ডিএমপি নিউজঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান বিভাগের ১টি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বাড্ডা থানার বাবা ও মেয়ে হত্যা মামলার ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে।
০৩ নভেম্বর’১৭ খুলনা ও ঢাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ভিকটিম মৃত জামিল শেখের স্ত্রী আরজিনা বেগম ও শাহিন মল্লিক। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা একটি কাঠের লাঠি ও একটি গামছা উদ্ধার করা হয়।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানায়, উত্তর বাড্ডার ময়নারবাগে টুটুলের বাসার প্রথম তলায় মৃত জামিল শেখের পরিবার ও তৃতীয় তলায় শাহিন মল্লিক তার পরিবার নিয়ে ভাড়ায় বসবাস করতো। উক্ত বাসায় থাকাকালীন মৃত জামিল শেখের স্ত্রী আরজিনা বেগমের সাথে শাহিনের পরিচয় হয়। জামিল শেখ পেশায় ড্রাইভার তাই দিনের বেশিরভাগ সময় তাকে বাহিরে থাকতে হতো। অপরদিকে শাহিনের স্ত্রী মাছুমা অন্যের বাসায় ঝিয়ের কাজ করতো। যার ফলে উভয়ের বাসার মধ্যে কেউ না থাকার কারনে তাদের দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সৃষ্টির মাধ্যমে পরকিয়ায় রুপ নেয়। এ পরকিয়া সম্পর্কের কারনে জামিল শেখের সাথে তার স্ত্রীর দাম্পত্য কলহ শুরু হয়।
জামিল শেখ গত দুই মাস পূর্বে বাড্ডা থানাধীন ৩০৬, উত্তর বাড্ডা ময়নারবাগে নতুন ভাড়া বাসায় তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে উঠেন। নতুন বাসায় সাবলেট হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয় শাহিন মল্লিককে। সে তার স্ত্রীকে নিয়ে সাবলেটে বসবাস করত। সাবলেটে থাকার কারনে আরজিনা বেগমের সাথে শাহিনের পরকিয়া সম্পর্ক আরো গভীর হতে থাকে। উক্ত সম্পর্কের কারনে তারা দুজনে মিলে জামিল শেখকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার খন্দকার মোস্তাক আহমেদ বলেন-পরিকল্পনা মোতাবেক ১ নভেম্বর’১৭ রাতে আসামী আরজিনা ঘরের দরজা খুলে দিলে শাহিন ভিতরে প্রবেশ করে। ঘরের মধ্যে পূর্বে থেকে রাখা একটি কাঠের লাঠি দিয়ে শাহিন ঘুমন্ত জামিল শেখের মাথায় উপর্যপুরি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পাশে থাকা মেয়ে নুসরাত জাহান তার বাবাকে আঘাত করার দৃশ্য দেখে ফেলে। যার কারনে তাকেও গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যা করার পর শাহিন তার স্ত্রীকে নিয়ে খুলনা চলে যায়। জামিল শেখের স্ত্রী আরজিনা বেগম হত্যাকান্ডটিকে ডাকাতির ঘটনা হিসেবে প্রচার করার চেষ্টা করে।