ডিএমপি নিউজঃ আজ পুলিশ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন। অনুষ্ঠিত হল বার্ষিক পুলিশ কুচকাওয়াজ প্রতিযোগিতা ও আইজিপি ব্যাজ পরিধান অনুষ্ঠান। শিল্ড প্যারেড প্রতিযোগিতা ২০২২ এ প্রথম হয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। আর দ্বিতীয় হয়েছে যৌথ মেট্রোপলিটন পুলিশ দল ও তৃতীয় হয়েছে শিল্পাঞ্চল পুলিশ দল।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি ২০২২) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে বিজয়ী ইউনিটকে ট্রফি ও শিল্ড প্রদান করেন ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম(বার)। এর আগে আইজিপি বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের সুশৃঙ্খল ও দৃষ্টিনন্দন প্যারেড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন।
পুলিশ সপ্তাহে বিভিন্ন ইভেন্টের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের অংশগ্রহণে প্যারেড প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান ‘শিল্ড প্যারেড’ একটি অন্যতম ইভেন্ট। এ ইভেন্টে পিটি ও প্যারেডের নৈপূণ্যতা দেখিয়ে নিজেদের কৃতিত্ব প্রদর্শন করে থাকে পুলিশ সপ্তাহে অংশগ্রহণ করা বিভিন্ন প্যারেড কন্টিনজেন্ট।
শিল্ড প্যারেডের অভিবাদন গ্রহণ শেষে পুলিশ সদস্যের উদ্দেশ্যে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ দেশের মানুষকে সেবা দিতে বদ্ধপরিকর। আমরা প্রতিনিয়ত এ সংগঠনের মানোন্নয়নের জন্য কাজ করছি। পুলিশ সদস্যদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার মাধ্যমে মেধাবীদের নির্বাচন করা হচ্ছে। আমরা দীর্ঘ ৪০ বছর পর কনস্টেবল, সাব ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট পদের নিয়োগবিধি সংশোধন করেছি। ইতিমধ্যে কনস্টেবল পদে ‘বেস্ট অব দি বেস্ট’ প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। আমরা মনে করি, পুলিশের চাকরি শুধু চাকরি নয়, সেবা। এজন্য আমাদের এবারের ট্যাগলাইন হলো ‘চাকরি নয়, সেবা’। আমরা চাই পুলিশ বৈষম্যহীনভাবে দেশের মানুষকে সেবা দেবে।
জঙ্গিবাদ ও মাদক প্রসঙ্গে ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছেন। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেই শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি বাস্তবায়ন করছি। যখনই আমাদের দেশে জঙ্গিবাদ হানা দিয়েছে, তখনই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তা দমন করেছি। বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অস্ত্র সম্পূর্ণ নির্মূল করতে হবে। মাদক নির্মূলে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।
করোনাকালে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, করোনা অতিমারিতে পুলিশ এক মহাকাব্যিক ভূমিকা পালন করেছে। নিজেদের জীবন বিপন্ন করে পুলিশ সদস্যরা জনগণের বাড়িতে ওষুধ ও খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। কৃষকের ধান কাটার ব্যবস্থা করা, এমনকি করোনায় কেউ মারা গেলে যখন আত্মীয়-স্বজনরা লাশ ফেলে চলে গেছেন তখন পুলিশ সদস্যরা লাশ দাফন ও সৎকার করেছেন। করোনাকালে ১০৬ জন পুলিশ সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। ২৭ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই আবার সুস্থ হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করেছেন।
‘দক্ষ পুলিশ সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে উদযাপিত হচ্ছে এবারের পুলিশ সপ্তাহ-২০২২। পুলিশ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে আইজিপি শিল্ড প্যারেড, ২০২০ ও ২০২১ সালের মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও চোরাচালান দ্রব্য উদ্ধারে সাফল্য অর্জনকারী বিভিন্ন ইউনিটের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।