একাডেমিক ও গবেষণার ক্ষেত্রে সহযোগিতার নিমিত্তে পুলিশ স্টাফ কলেজ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) পুলিশ স্টাফ কলেজ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা, গবেষণা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি পরিচালনা করার নিমিত্ত উপাচার্যের কার্যালয়ে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। কলেজের পক্ষে ভাইস রেক্টর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ট্রেজারার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাবিদ এবং পেশাজীবীগণের মধ্যে শিক্ষা, গবেষণাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছে। এর মাধ্যমে পুলিশ কর্মকর্তাগণ উচ্চতর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ লাভ করে জনসেবায় আত্মনিয়োগ করার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। এছাড়াও পরিবেশ সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ মোকাবেলায় তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান লাভে সক্ষম হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য স্মার্ট পুলিশিং কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: নূরুল আলম বলেন, পুলিশ স্টাফ কলেজের সাথে আমাদের সম্পৃক্ততা দীর্ঘ দিনের। কলেজের পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হিসেবে কাজ করার ব্যক্তিগতভাবে সুযোগ হয়েছে। এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পৃক্ততা সৃষ্টি হলো। আশা করছি, সমঝোতা স্মারকে উল্লেখিত কাজের ক্ষেত্রগুলো বাস্তবায়নে উভয় প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ফোকাল্ট পয়েন্ট কর্মকর্তাগণ সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিটি কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, অপরাধের ক্ষেত্র প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হওয়ায় অপরাধীগণও তাদের কাজের ধরণ পরিবর্তন করছে। এমতাবস্থায় শিক্ষাবিদ ও পুলিশ পেশাজীবীদের মধ্যে কাজের সমন্বয়ের জন্য এ ধরণের চুক্তি কাঙ্খিত ছিল। আগামী দিনে আমাদের কাজের পরিধি বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে এ প্রত্যাশা করছি।
রেক্টর এ ধরণের উদ্যোগের সাথে সংশ্লিষ্ট উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি উপাচার্যসহ উপস্থিত সকল শিক্ষাবিদ ও কর্মকর্তাগণকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানে পুলিশ স্টাফ কলেজের ভাইস রেক্টর মো: রেজাউল হক পিপিএম, এমডিএস (প্রশাসন ও অর্থ) মো: মতিউর রহমান শেখ, এমডিএস (ট্রেনিং) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন এবং পরিচালক (গবেষণা ও প্রকাশনা) মোহাম্মদ শাহজাহান পিপিএম (বার), পিএইচডি উপস্থিত ছিলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো: মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক বশির আহমেদ, লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো: নূরুল আমিন প্রমুখ।