আসছে রমজান মাস। আর ঠিক যখন রমজান মাস আসে তখনি এর চাহিদা সবার মাঝে অনেক গুণ বেড়ে যায়। আর ইফতারিতে না খেলে মনে হয় ইফতারি পরিপূর্ণ হয়নি। আবার অনেকেই শুধু ইফতারিতে মুখে দিয়েই রোজা ভেঙে থাকেন। হ্যা বলছি খেজুরের কথা। খেজুর খাওয়া সুন্নত, কিন্তু এই খেজুর যে শুধু রমজান মাসে রোজা রেখেই খেতে হবে আর অন্য সময় না খেলেও হবে এমনটা নয়। আমাদের এই প্রিয় ফল খেজুরের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা।
খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, সোডিয়াম, কপার, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ফসফরাস, থায়ামিন, নাইয়াসিন, রিবোফ্ল্যাভিন, বিটা-ক্যারোটিন সহ নানারকম স্বাস্থ্যউপকারি উপাদান।
কলেস্টেরল এবং ফ্যাট: খেজুরে কোন কলেস্টেরল এবং বাড়তি পরিমাণে চর্বি থাকে না।
প্রোটিন: খেজুর প্রোটিন সমৃদ্ধ ফল। এটি শরীরের পেশী গঠন করতে সহায়তা করে ।
ভিটামিন: খেজুরে রয়েছে B1, B2, B3 এবং B5। এছাড়াও ভিটামিন A1 এবং সি ভিটামিন পাওয়ার আরও একটি সহজ মাধ্যম হচ্ছে খেজুর। খেজুর দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়। সেই সাথে রাত কানা রোগ প্রতিরোধেও খেজুর অত্যন্ত কার্যকর।
আয়রন: আয়রন মানব দেহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। খেজুরে প্রচুর আয়রন রয়েছেও ফলে এটা হৃৎপিন্ডের কার্যমতা বাড়ায়। তাই যাদের দুর্বল হৃৎপিন্ড খেজুর হতে পারে তাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ঔষধ।
ক্যালসিয়াম: ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক। আর খেজুরে আছে প্রচুর পরিমান ক্যালসিয়াম। যা হাড়কে মজবুত করে। খেজুর শিশুদের মাড়ী শক্ত করতে সাহায্য করে।
ক্যানসার প্রতিরোধ: খেজুর পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ এবং প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ন। এক গবেষনায় দেখা যায় খেজুর পেটের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। আর যারা নিয়মিত খেজুর খান তাদের বেলায় ক্যানসারে ঝুকিটাও কম থাকে।
ওজন কমায়: মাত্র কয়েকটা খেজুর কমিয়ে দেয় ক্ষুধার জ্বালা। এবং পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহনে উদ্বুদ্ধ করে। এই কয়েকটা খেজুরই কিন্তু শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরন করে দেয়।
কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করে: খেজুরে আছে এমন সব পুষ্টি গুন। যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। এবং কোষ্ঠ কাঠিন্য রোধ করে। কখনো কখনো ডায়রিয়ার জন্যেও এটা অনেক উপকারী।
সংক্রমন: যকৃতের সংক্রমনে খেজুর উপকারী। এছাড়া গলা ব্যথা, বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি, এবং ঠান্ডায় খেজুর উপকরী। খেজুর অ্যালকোহল জনিত বিষক্রিয়ায় বেশ উপকারী। ভেজানো খেজুর খেলে বিষক্রিয়ায় দ্রুত কাজ করে।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি: খেজুর দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। সেই সঙ্গে রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও খেজুর সহায়ক। তাই চোখের সমস্যায় ভোগা রোগীরা সচ্ছন্দে খেতে পারেন খেজুর।
বিষক্রিয়া রোধ: খেজুর অ্যালকোহলজনিত বিষক্রিয়ায় বেশ উপকারী। ভেজানো খেজুর খেলে বিষক্রিয়ায় দ্রুত কাজ করে।
তাই আমাদের উচিত শুধুমাত্র রোজার মাস ছাড়াও সারা বছরে নিয়মিত খেজুর খাওয়া।