পেঁয়াজ যেমন খাবারের স্বাদ বাড়ায়, তেমনি এর খোসা শরীরের একাধিক জোটিল রোগের চিকিৎসায় কাজে আসে।
চলুন জেনে নেই পেঁয়াজের খোসার নানা গুণাগুণ সম্পর্কে:
শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় : পেঁয়াজের খোসা দিয়ে একটু জুস বানিয়ে নিন। তাতে অল্প করে মধু বা চিনি মেশাতে ভুলবেন না। কারণ শুধু মাত্র পেঁয়াজের খোসা দয়ে বানানো পানীয়র স্বা বেশ খারাপ হয়। প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করার পাশাপাশি যদি এই জুসটি খেতে পারেন, তাহলে শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা একেবারে কমে যায়। ফলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক সহ একাধিক মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় থাকে না বললেই চলে।
ক্যান্সার বিরোধী : ক্যান্সার রোগের প্রসার আটকাতে পেঁয়াজের খোসার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ এতে রয়েছে বিশেষ এক ধরনের এনজাইম যা শরীরে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি আটকায়। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট স্বাভাবিক কোষেদের বৃদ্ধি যাতে ঠিক মতো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে ক্যান্সার রোগ শরীরে বাসা বাঁধার কোনও সুযোগই পায় না। এক্ষেত্রে প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে পেঁয়াজের খোসা দিয়ে বানানো চা খেতে হবে। তবেই মিলবে উপকার!
ফাইবারের যোগান বাড়ায় : পেঁয়াজের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা পাকস্থলির কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে হজম ক্ষমতার উন্নতিতে এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে কনস্টিপেশনের মতো সমস্যা কমাতে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও নানাভাবে সাহায্য় করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর করে : বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে পেঁয়াজের খোসায় প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মজুত থাকে, যা শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে নানাবিধ রোগভোগের আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। এই উপাদানটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই নিয়মিত পেঁয়াজের খোসা খেতে পারেন, তাহলেই দেখবেন ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আর প্রয়োজন পরবে না।
অন্ত্রের নানাবিধ সমস্যা দূর হয় : পেঁয়াজের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ব্য়াকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপাটিজ, যা পেটের যে কোনও ধরনের সংক্রমণ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে পেঁয়াজের খোসা ভেজানো জল প্রতিদিন খেতে হবে। তাহলেই দেখবেন রোগের প্রকোপ একেবারে কমে যাবে। ইচ্চা হলে অন্ত্রের ইনফেকশন কমাতে আপনি ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি এই ঘরোয়া চিকিৎসাটির সাহায্যও নিতে পারেন।
শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় : পেঁয়াজের খোসা দিয়ে একটু জুস বানিয়ে নিন। তাতে অল্প করে মধু বা চিনি মেশাতে ভুলবেন না। কারণ শুধু মাত্র পেঁয়াজের খোসা দয়ে বানানো পানীয়র স্বাদ বেশ খারাপ হয়। প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করার পাশাপাশি যদি এই জুসটি খেতে পারেন, তাহলে শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা একেবারে কমে যায়। ফলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক সহ একাধিক মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় থাকে না বললেই চলে।
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে ঠাসা : এক গ্লাস পানিতে পরিমাণ মতো পেঁয়াজের খোসা সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে উঠে জলটা ছেঁকে নিয়ে পান করুন। এমনটা কয়েকদিন করলেই দেখবেন চুলকানি এবং অ্যালার্জিসহ ত্বকের নানাবিধ প্রদাহ সৃষ্টিকারী রোগ একেবারে সেরে যাবে। কারণ পেঁয়াজের খোসায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা অল্প সময়েই শরীরের যে কোনও জ্বালা বা প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
পোকা মাকড়দের দূরে রাখে : আপনার বাড়িতে কি মাছি, মশা এবং পোকা-মাকড়দের সংখ্যা বৃদ্ধি পয়েছে? তাহলে আজই এক গ্লাস পানিতে পরিমাণ মতো পেঁয়াজের খোসা চুবিয়ে সেই জলটা জানলা অথবা দরজার বাইরে রেখে দিন। এমনটা করলে দেখবেন সমস্যা কমে যাবে। কারণ পেঁয়াজের গন্ধে পোকা-মাকড়েরা আপনার বাড়ির ভিতরে ঢোকার সাহসই পাবে না।
চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে : গোসল করার পরে পেঁয়াজের খোসা ভেজানা জল দিয়ে ভালো করে চুলটা কয়েকবার ধুয়ে নিন। তাহলেই দেখবেন চুলের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসবে। সেই সঙ্গে স্কাল্পে ঘর বেঁধে থাকা নানাবিধ রোগের প্রকোপও হ্রাস পাবে। আসলে পেঁয়াজের খোসায় এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা চুলের ভিতরে প্রবেশ করে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।