ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবল খেলোয়ার পেলে। তার আসল নাম এডসন অ্যারান্টেস ডু নাসিমেন্টো। নিজের নাম নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিখ্যাত আবিষ্কারক থমাস আলভা এডিসনের সঙ্গে মিলিয়ে বাবা আমার নাম রেখেছিলেন। যখন খেলা শুরু করলাম তখন আমাকে সবাই ‘পেস’ বলে ডাকত। ‘পেস’ মানে পা। পর্তুগিজে বলে শট মারাকেও বলা হয় ‘পেস’। এই ‘পেস’ থেকেই এক সময় আমাকে পেলে ডাকা শুরু হল।’’
ছোটবেলায় পেলে স্বপ্ন দেখতেন করিন্থিয়াসে খেলার। কিন্তু এক্ষেত্রেও তাঁর বাবার জন্য তিনি স্যান্টোসে সই করেন। কারণ স্যান্টোসের প্রেসিডেন্ট পেলের বাবার ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সঙ্গে জানালেন, ১৯৫৮ সালে বন্ধুদের কাছ থেকে ব্রাজিল জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার খবর বিশ্বাসই করতে পারেননি, ‘‘বন্ধুরা খবরটা দেওয়ার পরে ওদের বলেছিলাম, তোমরা আমার সঙ্গে মজা করছ। যে বিমানে সুইডেনে উড়ে গেলাম সেটা দেখেও চমকে গিয়েছিলাম। কী বিশাল যে সেই বিমানটা ছিল।’’
তাঁর সঙ্গে খেলা সর্বকালের সেরা কোন কোন ফুটবলারকে বাছবেন জানতে চাওয়া হলে পেলে নাম করলেন গ্যারিঞ্চা, ডিডি আর ফালকাওয়ের। কিন্তু কোন ফুটবলারের খেলা দেখতে টিকিট কেটে মাঠে যাবেন জানতে চাওয়া হলে প্রতিক্রিয়া, ‘‘জিকো আর সক্রেটিসের খেলা টিকিট কেটে দেখতে চাইব।’’ প্রসঙ্গত জিকো ও সক্রেটিস— দু’জনই ব্রাজিলের বিরাশির বিশ্বকাপ দলে ছিলেন। যে দল সম্পর্কে বলা হয়, অসম্ভব প্রতিভাবান হয়েও কাপ জেতেনি।
তাঁর সময়ের থেকে এখনকার ফুটবল কতটা বদলে গিয়েছে জানতে চাওয়া হলে পেলের জবাব, ‘‘মাঠের মধ্যে খেলার কিছুই বদলায়নি। সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটা হয়েছে মাঠের বাইরে নানা সুবিধা লাভের ক্ষেত্রে। আমাদের সময় এত ভাল ব্যবস্থা ছিল না।’’