কারণ, এরই মধ্যে শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি-সেভেনভুক্ত দেশ চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত আরো পাঁচটি দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়েই এ ব্যাপারে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সংবাদ সংস্থা বিবিসি সেই বিবৃতি দেখেছে। এতে প্যারিস চুক্তি কার্যকর করার জন্য ‘সর্বোচ্চ রাজনৈতিক সদিচ্ছার’ ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ইতালির সিসিলির তাওরমিনাতে অনুষ্ঠিত বিশ্বের শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি-সেভেনের শীর্ষ সম্মেলনের মূল আলোচ্যসূচি ছিল প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। কিন্তু জি-সেভেনভুক্ত দেশগুলোর নেতারা চেষ্টা করেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছ থেকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি নিয়ে অগ্রসর হওয়ার কোনো অঙ্গীকার আদায় করতে পারেননি।
গত শনিবার সম্মেলনের শেষ দিনে এক টুইটার বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আলোচিত প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন জানাবে, নাকি প্রত্যাখ্যান করবে—সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী সপ্তাহে। ওয়াশিংটনে ফিরে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির বিষয়ে আগামী সপ্তাহে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্মূল্যায়ন করবেন তিনি। তখনই এ চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলা যাবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তনকে ‘প্রয়োজন অনুযায়ী সময়ে সময়ে ওঠানো একটি ধাপ্পাবাজি’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এ ছাড়া বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে ‘চীনের ধোঁকাবাজি’ বলেও ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন তিনি।
প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ রক্ষায় ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে প্যারিসের ‘কপ-২১’ জলবায়ু চুক্তিটিকেও পুরোনো ধারণা বলে নির্বাচনী প্রচারের সময় মতপ্রকাশ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর যুক্তি দেখিয়ে ট্রাম্প জলবায়ু নীতি থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছিলেন। কারণ, এ চুক্তির আলোকে যে জলবায়ু তহবিল গঠিত হয়, তার বড় জোগানদাতা যুক্তরাষ্ট্র। এই তহবিল থেকেই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো সাহায্য পায়।