প্রতিকূল আবহাওয়ায় নদীপথে চলাচলরত নৌযানগুলোর চালকসহ সংশ্লিষ্টদের যথাযথ সতর্কতা অবলম্বনের আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
‘নৌ–নিরাপত্তা সপ্তাহ–২০১৭’ উপলক্ষে সোমবার বিকেলে প্রদত্ত এক বাণীতে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বল্প মূল্যে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে নৌযানের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য প্রতিকূল আবহাওয়ায় নদীপথে চলাচলরত নৌযানগুলোকে যথাযথ সতর্ক ও সচেতন থাকার জন্য আমি নৌযান মালিক, মাস্টার ও যাত্রী সাধারণসহ নৌযান সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। আমি আশা করি, নৌ আইন মেনে চলার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলের সচেতনতায় নৌযান ও নৌপথ আরো নিরাপদ হবে।’
মঙ্গলবার থেকে ‘নৌ–নিরাপত্তা সপ্তাহ–২০১৭’শুরু হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘দেশ যাবে এগিয়ে যাত্রা হোক নিরাপদ, নৌ আইন মানবো মোরা এটাই হোক অঙ্গীকার’ যথার্থ ও সময়োপযোগি হয়েছে।’
শেখ হাসিনা এক বাণীতে উল্লেখ করেন, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে দেশের ৫৩টি নৌপথের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি নৌ–নিরাপত্তা বৃদ্ধিসহ নৌযানকে আরো আধুনিকায়ন করতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তাবায়ন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে মেরিন সেক্টরে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে পাবনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুরে ৪টি মেরিন একাডেমির নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
এরমধ্যে ৩টির অবকাঠামো নির্মাণ চলতি বছরের মধ্যে শেষ হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন,বিদেশগামী জাহাজে দক্ষ নাবিক তৈরির লক্ষ্যে সরকার মাদারীপুরে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের একটি শাখা চালু করেছে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ৬টি বিভাগীয় শহরে ইনস্টিটিউটের শাখা চালু করার পরিকল্পনাও তাঁর সরকার গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,বর্তমানে বাংলাদেশে নির্মিত নৌযান বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। যা নৌশিল্পের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। এদেশের প্রশিক্ষিত নৌসম্পদ দেশ–বিদেশের শ্রমবাজারের চাহিদা পূরণ ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সক্ষম হবে বলেও তিনি মনে করেন।
প্রধানমন্ত্রী ‘নৌ–নিরাপত্তা সপ্তাহ ২০১৭’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।