গত দুই বছরে বদলে যাওয়া ইংল্যান্ড বড় ভয়ংকর দল। নিজেদের আঙ্গিনায় এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলছেন মরগানরা। প্রতিযোগিতার একমাত্র দল হিসেবে শতভাগ জয়ের রেকর্ড নিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে স্বাগতিকরা। আজ প্রথম সেমিফাইনালে সেই ইংল্যান্ডের মুখোমুখি পাকিস্তান। এখন তাদের চোখে ফাইনালের স্বপ্ন! ইংল্যান্ডকে ফেভারিট মেনেই আশায় বুক বেঁধেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ।
সোমবার কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে শ্রীলংকাকে তিন উইকেটে হারিয়ে সেমির টিকিট কাটে পাকিস্তান। ৬১ রানে অপরাজিত থাকা অধিনায়কের ব্যাটেই প্রায় হারা ম্যাচ জিতেছে পাকিস্তান। অষ্টম উইকেটে সরফরাজ ও মোহাম্মদ আমিরের ৭৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। কার্ডিফে স্বাগতিকদের বিপক্ষেও সুখ স্মৃতি রয়েছে পাকিস্তানের। গত বছর এখানেই ইংল্যান্ডের ৩০২ রানের পাহাড় টপকে চার উইকেটে জিতেছিল তারা। ৯০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন সরফরাজ।
মুদ্রার উল্টো পিঠের চিত্রটাও জানা আছে সরফরাজের। কার্ডিফের সেই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছিল পাকিস্তান! ইংল্যান্ডের বর্তমান দলটি আরও শানিত। ওয়ানডেতে শেষ ১২ ম্যাচের ১১টিতেই তারা জিতেছে। ব্যাট হাতে দুর্ধর্ষ ফর্মে আছেন রুট, হেলস, মরগান, স্টোকস, বাটলাররা। উড, প্লাংকেট, রশিদরা মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন বল হাতে। এই ইংল্যান্ডকে হারানো যে ভীষণ কঠিন, তা মেনে নিচ্ছেন সরফরাজ, ‘ইংল্যান্ড খুবই ভালো দল। সব বিভাগেই শক্তিশালী। এমন বিশ্বমানের একটি দলের বিপক্ষে খেলতে গেলে আমাদেরও ইতিবাচক থাকতে হবে। ইংল্যান্ড যে ক্রিকেট খেলছে তাতে তাদের হারানো সত্যিই কঠিন।
দু’বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক হয়ে দু’বারই ফাইনালে খেলেছে মরগানরা। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কখনোই সেমির বাধা পেরোতে পারেনি পাকিস্তান। আজ ছবিটা কি বদলাবে?