সৌদি বাদশার আমন্ত্রণে ‘আরব ইসলামিক আমেরিকান সামিট’ এ যোগ দিতে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা; এই সম্মেলনে যোগ দিতে ইতোমধ্যে রিয়াদ পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শেখ হাসিনা আরব ও ইসলামী দেশগুলোর এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি ওমরাহ পালন এবং মদিনায় মহানবী (সা.) এর রওজা জিয়ারতও করবেন বলে তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন।
শনিবার রাত ৮ টা ১০ মিনিটে বিমানের একটি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী রিয়াদ রওনা হন। হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং তিন বাহিনীর প্রধান।
সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সউদের আমন্ত্রণে এই সফরে গেলেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান।
সৌদি আরবের সাংস্কৃতিক ও তথ্যমন্ত্রী আওয়াদ বিন-সালেহ-আল-আওয়াদ গত ৯ মে ঢাকায় এসে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে যান।
রোববার সম্মেলনের ‘গ্লোবাল সেন্টার ফর কমবেটিং এক্সট্রিমিস্ট থট’ শীর্ষক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। সৌদি বাদশাহর দেওয়া এক ভোজেও অংশ নেবেন তিনি।
এই সম্মেলনে যোগ দিনে শনিবার রিয়াদ পৌঁছান ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে এটাই তার প্রথম বিদেশ সফর।
রোববার ‘আরব ইসলামিক আমেরিকান সামিট’ এ বিভিন্ন মুসলিম দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় নতুন অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা এবং নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদার করাই রিয়াদের আরব ইসলামিক আমেরিকান সামিটের উদ্দেশ্য।
“সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্র জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থানের কথা তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী।”
“সম্মেলনে আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর প্রাজ্ঞ নেতৃত্বের প্রতি আস্থার বহিঃপ্রকাশ। এই সফরের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে,” বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সোমবার মহানবী (স.) এর রওজা জিয়ারত করতে মদিনার যাবেন শেখ হাসিনা। একই দিন সন্ধ্যায় মদিনা থেকে ফিরে মক্কায় ওমরাহ পালন করবেন তিনি।
মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।