বাংলাদেশের জনসংখ্যার বড় অংশ তরুণ। তাদের অবশ্যই যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এ বিশাল শ্রমশক্তিকে প্রশিক্ষিত করে তুলতে পারলে তারা দেশে ও বিদেশে কাজ করার সুযোগ পাবে বললেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
বুধবার রাজধানীর আইডিইবি মিলনায়তনে ‘রিজিওনাল কনফারেন্স অন টিভিইটি ফর গ্লোবাল কম্পিটিটিভনেস’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন। কলম্বো প্ল্যান স্টাফ কলেজ (সিপিএসসি), কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর এবং আইডিইবি যৌথভাবে কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (টিভিইটি) বিষয়ক এ আঞ্চলিক সম্মেলনের আয়োজন করে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গত তিন দশক ধরে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল বৈশ্বিক শ্রমশক্তি সরবরাহের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা রাখছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘টিভিইটির প্রসারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৪২০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আরও এক হাজার ১৫০ জনকে সেখানে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। চীনে ৫৮১ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।’
তিনি জানান, ‘বাংলাদেশে টিভিইটি শিক্ষায় ভর্তির হার ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (টিএসসি) স্থাপন করা হবে। এরইমধ্যে ১০০টি টিএসসি নির্মাণের কাজ চলছে। দ্বিতীয় ধাপে অবশিষ্ট ৩৮৯টি টিএসসি নির্মাণ করা হবে। কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষায় ভর্তির হার ২০২০ সালের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ ভাগে উন্নীত করতে দেশে আরও ২৩টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ৪টি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং ৮টি মহিলা টিএসসি স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।’
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, সিপিএসসি মহাপরিচালক ড. রামহরি লামিচানে, আইডিইবির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম এ হামিদ, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এফ এম এনামুল হক বক্তৃতা করেন।
উল্লেখ্য, দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে সিপিএসসি সদস্য দেশগুলোর ২৩ জন প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।