ব্রিটেনের প্রিন্স চার্লস বলেছেন, রাজা হিসেবে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর তিনি অনধিকার চর্চা করবেন না। ব্রিটিশ সিংহাসনের এ উত্তরাধিকারীর ৭০তম জন্মদিন উপলক্ষে বিবিসির নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্রে তাঁর এই মনোভাব উঠে এসেছে। আগামী ১৪ নভেম্বর চার্লসের ৭০তম জন্মদিন উদ্যাপিত হবে।
চার্লসের ভাষ্য, অতীতে যেসব বিষয়ে তাঁর সমালোচনা হয়েছে, সেগুলো তিনি এড়িয়ে চলবেন। তিনি বলেন, ‘আপনি জানেন, আমার কর্মকাণ্ড কোনো রাজনৈতিক দলের ছিল না। এসব নিয়ে কথা বলতে আমি ক্লান্তবোধ করি। এটা মনে রাখা জরুরি যে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একজন শাসকই থাকেন, দুজন নয়। তাই আপনি যদি ওয়েলসের প্রিন্স বা উত্তরাধিকার হন, আপনার দুই ধরনের ভূমিকার সুযোগ নেই।’
ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী চার্লস বলেন, “অনেকেই বলে থাকেন রাজা হওয়ার পরও আমি আগের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাব। এই ধরনের চিন্তা পুরোপুরি অর্থহীন। দুই পরিস্থিতি পুরোপুরিই ভিন্ন। পরিবর্তন দেখার জন্য আপনি শেকসপিয়ারের ‘পঞ্চম হেনরি’ ও ‘চতুর্থ হেনরি’র প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড দেখতে পারেন। আসলে আপনি যখন রাজা হবেন, তখন সেই অনুযায়ী চলতে হবে।”
চার্লস আরো বলেন, সুতরাং এটা পরিষ্কার যে আমি যা করেছি রাজা হওয়ার পর তা করতে পারব না। সিংহাসনে থাকাকালে আপনাকে সংবিধান মেনে চলতে হবে।
এর আগে চার্লস দেশটির মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি লিখেন। তিনি পরিবেশ ও আধুনিক স্থাপত্য নিয়ে বক্তৃতা করেছেন। তিনি প্রস্তাবিত ন্যাশনাল গ্যালারি সম্প্রসারণকে ‘কার্বনকলের দৈত্য’ আখ্যা দেন। পরে ওই প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার পক্ষে কাজ করেছেন। এ ধরনের বিষয়ে প্রিন্সের সংশ্লিষ্টতা সমালোচনার মুখে পড়ে। সূত্র : বিবিসি।