মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে কিম্বার্লিতে প্রোটিয়াদের ২৭৯ রানের টার্গেট দিয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার স্কিপার মাশরাফি বিন মর্তুজা।ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে দেখে-শুনে এগিয়ে নেন দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস। এই জুটিতেই আসে ৪৩ রান। কিন্তু ৯ ওভারে এই জুটিতে আঘাত হানেন কাগিসো রাবাদা। দ্বিতীয় স্লিপে গুড লেন্থের বলে লিটনকে তালুবন্দী করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। লিটন ফেরেন ২১ রানে।
এরপর ধীরস্থির হয়েই খেলার চেষ্টা ছিল ইমরুলের। ১৪তম ওভারে প্রিটোরিয়াসের বলে ফাইন লেগে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে হাল্কা টোকা দিয়েছিলেন। ঠিকমতো না হওয়াতে বল গিয়ে জমা পড়ে উইকেটরক্ষকের হাতে। ৪৩ বলে ৩১ রানে ফেরেন ইমরুল। যাতে ছিল ৪টি চার ও একটি ছয়। ৬৭ রানে দুই উইকেট হারানোর পর খানিকটা অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল সফরকারী দল। সেই অস্বস্তি পরে কাটিয়ে উঠেন অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তাদের জুটিতে ভর করেই শত রান পার করেন বাংলাদেশ। এক পর্যায়ে ওয়ানডেতে ৫ হাজার রানটাও পূরণ করেন তিনি। দুর্ভাগ্যক্রমে ইমরান তাহিরের বলে আর থিতু থাকতে পারলেন না। স্লিপে আমলার হাতে বল দিয়ে বিদায় নেন সাজঘরে। সাকিবের তখন স্কোর ছিল ২৯ রান।
সাকিব বিদায় নিলেও নিজের স্বাভাবিক খেলাটা ধরে রাখেন মুশফিক। তুলে নিয়েছেন ২৭তম হাফসেঞ্চুরি। একই সঙ্গে আক্রমণাত্মক ছিলেন স্বাগতিকদের ওপর। মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে সংগ্রহ বাড়ানোর দিকেই মনোযোগী ছিলেন দুজন। কিন্তু প্রিটোরিয়াসের বলে মনোযোগ ধরে রাখতে পারেননি। উঠিয়ে মারতে গিয়েই ধরা পড়েন ডেভিড মিলারের হাতে। মাহমুদউল্লাহ বিদায় নেন ২৬ রানে। তাতে ছিল ৩টি চার ও একটি ছয়।
উল্টো দিকে সেঞ্চুরি ঠিকই তুলে নেন টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন প্রোটিয়াদের বিপক্ষে। ১০৮ বলে করেছেন সেঞ্চুরি। যেখানে ছিল ২টি ছয় ও ১০ চার। এর আগে অবশ্য সাজঘরে ফেরেন সাব্বির রহমান। আগ্রাসী খেললেও রাবাদার বলে তালুবন্দী হন তিনি।