ডিএমপি নিউজ : ত্রুটিপূর্ণ ও ফিটনেসবিহীন ৪৮৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ।
গত ১৩ এপ্রিল হতে অভিযান শুরু করে মাত্র ৩৬ ঘণ্টারও কম সময়ে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, লেগুনা, সিএনজি, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলসহ ৪৮৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।
চলমান এই অভিযানে বিভিন্ন যাত্রীবাহী কোম্পানির বাসের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। যে সকল যাত্রীবাহী কোম্পানির বাসের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে রাইদা, শ্যামলী, রাজীব, শরীয়তপুর সুপার, বাহাদুর শাহ, পদ্মা, গাবতলী ৮ নং রুটের বাস, বলাকা, তুরাগ, হানিফ, আবাবিল, অনাবিল সুপার, বোরাক, বিহঙ্গ, পাহাড়িকা, মেঘনা ডিলাক্স, ট্রান্সসিলভা, বিকল্প, ইমরান, শিকড়, ইমাদ, গ্রীন এক্সসেস, হানিফ, জেদ্দা বাস, বিএমএফ বাস, রাজধানী, রমজান, আশিয়ান, মিয়ামি, সেবা, দিঘীরপাড়, সেবা সুপার, তিশা, অনন্যা সুপার, লাবিবা, শ্রাবণ, ইভান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবহন, ইউরো পরিবহন, চৌধুরী পরিবহন, জয় পরিবহন, সুরমা সুপার, সাজ্জাদ বাস, সেভেন স্টার, আনন্দ, সাকুরা, সুন্দরবন ও চৌধুরী পরিবহন।
তাছাড়া নিষিদ্ধ সময়ে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি যাতে মহানগরীতে প্রবেশ করে যানজট সৃষ্টি না করতে পারে সেজন্য চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ জানায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ কর্তৃক নিজ অধিক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে ফিটনেসবিহীন ও ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনমুক্ত করা হবে। এই অভিযানের ফলে ফিটনেসবিহীন ও ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় চলাচল কমে আসবে। পদ্মা সেতু চালু হওয়াতে দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলা, সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের ১৭টি জেলার যানবাহন ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের মধ্য দিয়ে চলাচল করে। দেশের বৃহৎ একটি অংশের যানবাহন যাতায়াত করে এই এলাকা হয়ে। যানজট সহনীয় পর্যায়ে রেখে পথচারী, যানবাহনের চালক ও যাত্রীগণ যাতে স্বস্তিতে চলাচল করতে পারে এবং নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ।