ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি ও সমবেদনা জানিয়ে এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞ ও দমন–পীড়নের প্রতিবাদে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের শিক্ষার্থীরা তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা পবিত্র আল–আকসা মসজিদে ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপের অবসান দাবি করে।
এদিকে, মঙ্গলবার সকালের দিকে ইসরাইল কর্তৃপক্ষ আল–আকসা মসজিদ থেকে মেটাল ডিটেক্টর সরিয়ে নিয়েছে। এখন সেখানে শুধু স্মার্ট ক্যামেরা বসানো রয়েছে।
ইসরাইলের এ পদক্ষেপের পর আল–আকসা মসজিদের তত্ত্বাবধানকারী আলেমরা বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত এসব ক্যামেরা থাকবে ততক্ষণ কোনো ফিলিস্তিনি আল–আকসা মসজিদে যাবেন না।
পূর্ব জেরুজালেম বা আল–কুদস শহরে অবস্থিত আল–আকসা মসজিদের আঙিনায় এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ইহুদিবাদী ইসরাইল গত ১৪ জুলাই মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল–আকসা মসজিদ বন্ধ করে দেয়। এমনকি আল–আকসা মসজিদে মুসল্লিদের জুমার নামাজ আদায় বন্ধ করে দেয় ইসরাইল।
অবশ্য এর দু‘দিন পর এটি আবার খুলে দেয়া হলেও ইসরাইলি বাহিনী আল–আকসা মসজিদে মেটাল ডিটেক্টর এবং ক্যামেরা ব্যবহারসহ নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মুসলমানরা সেখানে প্রবেশে অস্বীকৃতি জানান এবং প্রতিবাদে তারা মসজিদের বাইরের আঙিনায় নামাজ আদায় করে আসছেন।