বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গোল করে সর্বকালের সেরা ফুটবলার পেলের পাশে বসলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফাইনালে গোল করা দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ট ফুটবলার বনে গেলেন তিনি। এর আগে ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে ১৭ বছর ২৪৯ দিনে গোল করেছিলেন পেলে। এমবাপ্পে করলেন ১৯ বছর ২০৭ দিনে।
এই বিশ্বকাপে তার তীব্র গতির কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছে সব বাঘা বাঘা দল। অনেকেই ফুটবলের ভবিষ্যত মনে করেন তাকে। দিয়েগো ম্যারাডোনা তাকে বিস্ময় বালক বলেছেন। কেউ কেউ তো আগ বাড়িয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নতুন পেলেও বলা শুরু করেছিলেন। এটা যে কেবল কথার কথা নয়, প্রতিদিনই সেটা প্রমাণ করে চলছেন ফরাসি সেনসেশন।
এমবাপ্পে পেলে হতে পারবেন কিনা তা সময়ই বলে দেবে। তবে আপাতত পেলের ঠিক পেছনে বসতে পেরেই খুশি হওয়ার কথা তার।
লুঝনিকির ফাইনালে তখন ৩-১ গোলে এগিয়ে ফ্রান্স। ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে হার্নান্দেজের পাসে বল পেয়ে যান এমবাপ্পে। তাকে রোখার সাধ্য ছিল না ভিদার। দারুণ শটে ক্রোয়েশিয়ার জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। ৪-১ গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। এই এক গোলেই ফুটবলের মহানায়ক পেলের পাশে বসলেন তিনি।
১৯৫৮ বিশ্বকাপে ১৭ বছরের পেলে কেড়ে নিয়েছিলেন সব আলো। ৬০ বছর পর আবার এক টিনএজ ফুটবলারের জাদু দেখল ফুটবল বিশ্ব। পেলে পরতেন ১০ নম্বর জার্সি, এমবাপ্পের গায়েও জড়ানো ‘নাম্বার টেন’। মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামের ফাইনালে এমবাপ্পে বিশ্বকাপের সো্নালি ট্রফিটা হাতে তুলতে পারায় নতুন পেলে বলতে আর কারো দ্বিধা থাকার তো কথা নয়।