বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া আরও বেশ কিছু অর্থ ফেরত আসছে। এর মধ্যে ফিলিপাইন থেকে ১২ লাখ ডলার পাওয়া যাবে শিগগিরই। এ ছাড়া দেশটির সোলায়ের ক্যাসিনোর অ্যাকাউন্টে জব্দ করা অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হয়েছে। অর্থ উদ্ধারে ফিলিপাইনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ব্যাংক অব নিইউয়র্ক অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করায় এ আশা আরও জোরালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের অ্যাকাউন্টে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। হ্যাকাররা ওই অর্থ নিয়ে যায় ফিলিপাইনে। এর একটি অংশ এরই মধ্যে উদ্ধার হয়েছে। চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধার বিষয়ে গত ২১ মে যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের মহাব্যবস্থাপক দেবপ্রসাদ দেবনাথ ও যুগ্ম পরিচালক আবদুর রব। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ছাড়াও দেশটির আইন বিভাগ, অপরাধ তদন্ত বিভাগের (এফবিআই) সঙ্গেও এ প্রতিনিধি দল বৈঠক করে। বৈঠকে টেলিকনফারেন্সে অংশ নেন সুইফটের কর্মকর্তারা। এর আগে গত বছরের আগস্টে একই রকম বৈঠক হয়।
বৈঠকের বিষয়ে গত সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১০টায় ফেডারেল রিজার্ভের ওয়েবসাইটে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, আগের বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকে সুইফট ব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক আন্তঃব্যাংক লেনদেন (করেসপন্ডেন্ট ব্যাংকিং) যেন খুবই সুরক্ষিত থাকে সে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত হয়েছে। অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়টি আলোচিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, আগের মতোই এবারের বৈঠক থেকেও চুরি হওয়া পুরো অর্থ উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ফিলিপাইনের ওপর দেশটির চাপ যেন অব্যাহত