শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাতিকে সচেতন ও জাগ্রত করেছিলেন, ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন এবং নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছতে তিনি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শোষণ-নিপীড়নমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। সে লক্ষ্য ও আদর্শ বাস্তবায়নে সবাইকে কাজ করতে হবে।’
মন্ত্রী ঢাকায় আগারগাঁওয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড প্রাঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শনের উপর আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ^াস এবং শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বক্তৃতা করেন। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা। এ শ্রেষ্ঠ অধ্যায়ের মহানায়ক হলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সমার্থক। বাংলাদেশ ও এদেশের মানুষের প্রতি ছিল তাঁর সীমাহীন দরদ ও ভালবাসা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, লক্ষ্য বাস্তবায়িত হলেই তাঁর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখানো হবে। তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নে শপথ নিতে হবে।’
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কীর্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। ঢাকা কলেজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০১৭ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্ম বিশ^মানের মেধার অধিকারী। তিনি তাদের স্বাধীনতার লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করার আহবান জানান। তিনি বলেন, আজকের মেধাবী শিক্ষার্থীরাই ভবিষ্যতে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে।
তিনি বলেন, বন্যায় যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের সাধারণ মেরামত কাজ আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। সাম্প্রতিক বন্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরো বাড়বে। আবারও পূর্নাঙ্গ তালিকা করে ছোট-বড় সব ধরনের মেরামতের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করে তা দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ মোয়াজ্জম হোসেন মোল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এসএম ওয়াহিদুজ্জামান এবং কলেজের উপাধ্যক্ষ নেহাল আহমদ।