রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে মহান এই নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে আজ সকালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দিনটি জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। জাতির পিতার প্রতিকৃতির বেদীতে পুষ্পাঞ্জলী অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এই মহান নেতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
১৫ অগাস্টের শহীদদের রুহের মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে এ সময় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তাঁদের তিন সন্তান শেখ কামাল শেখ জামাল ও শেখ রাসেল এবং কামাল ও জামালের নবপরিণীতা স্ত্রীসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের অধিকাংশ সদস্য ১৯৭৫ এর ১৫ অগাস্টের কালরাতে কিছু বিপথগামী ক্ষমতালিপ্সু সেনা সদস্যদের বুলেটের নির্মম শিকার হয়ে প্রাণ ত্যাগ করেন। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা সে সময় বিদেশে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান।
প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ,প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, তিনবাহিনী প্রধানগণ এবং উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে, প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং নেতা-কর্মীদের নিয়ে দলের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতির বেদীতে পৃথক শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী তাঁর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেনকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সে সময়কার বাসভবন, যেটি পরবর্তীতে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়েছে, তা ঘুরে দেখেন। তাঁরা সেখানে কিছু সময় অতিবাহিত করেন। আজ থেকে ৪৪ বছর আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের এই বাড়িটিতেই ’৭৫ এর ১৫ অগাস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরোচিত হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়।
ধানমন্ডী থেকে প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে যান। সেখানে তাঁর মা এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের কবরে পুস্পাঞ্জলী অর্পণ করেন এবং কবলে ফুলের পাঁপড়ি ছড়িয়ে দেন। তিনি এ সময় ফাতেহা পাঠ করেন এবং ১৫ অগাস্টের শহীদদের রুহের শান্তি কামনায় দোয়া করেন।