গতকাল সোমবার রাত আনুমানিক ০১.৪৫ টায় মীরেরবাগ ওরিয়েন্টাল টেক্সটাইল মিলস সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। নিহত সন্ত্রাসীর নাম মোক্তার হোসেন আমির (৪০) ।
ঢাকা জেলা পুলিশের সূত্রানুযায়ী সে ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও চাঁদাবাজি করত । সে আলোচিত পরাগ অপহরণ মামলাসহ ০২ টি খুন, ০২ টি অপহরণ, ০৩টি অস্ত্র আইন, ০২ টি পুলিশ এ্যাসল্ট, ০১ টি পুলিশ হেফাজত হতে পলায়ন, চাঁদা দাবী ও গুলি করে আহত করা সংক্রান্ত ০৩ টিসহ মোট ১৪ টি মামলার প্রধান আসামী। এছাড়া দেশের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে।
গত ১১ আগষ্ট ২০১৬ তারিখে সে ঢাকা জেলা কোর্ট হাজতখানা হতে কৌশলে পালিয়ে যায়। কিছুদিন আত্মগোপনে থাকার পর সে পুনরায় কেরাণীগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ীদের নিকট মূর্তমান আতঙ্ক হিসেবে আর্বিভূত হয়। সে নিয়মিত মোবাইলসহ ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকসহ অনেকের নিকট লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল।
রুজুকৃত মামলাগুলো তদন্তকালে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ আমির ও তার সঙ্গীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। এর প্রেক্ষিতে ৩১ জুলাই’১৭ সোমবার ঢাকা জেলা পুলিশ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বাগেরহাট জেলার শরনখোলা থানা এলাকা হতে সন্ত্রাসী মোক্তার হোসেন আমিরকে গ্রেফতার করে ।
সূত্র আরও জানায় গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সন্ত্রাসী আমির জানায় তার ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি মীরেরবাগ ওরিয়েন্টাল টেক্সটাইল মিলের পাশে একটি স্থানে মজুদ আছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে সন্ত্রাসী আমিরকে নিয়ে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ মীরেরবাগ ওরিয়েন্টাল টেক্সটাইল মিল এলাকায় অস্ত্রগুলি উদ্ধারের জন্য রওনা করে। দিবাগত রাত আনুমানিক ০১.৪৫ টায় উক্ত স্থানে পৌঁছামাত্র সন্ত্রাসী আমিরের সহযোগীগণ আমিরকে ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সুযোগে সন্ত্রাসী আমির পুলিশ হেফাজত হতে দৌঁড়ে সন্ত্রাসীদের সাথে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে প্রায় ২০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীগণ পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে আমিরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে ০২ রাউন্ড গুলি ভর্তি ০১টি বিদেশী পিস্তল ও প্রায় ২৪ ইঞ্চি লম্বা ০২টি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে ।