সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, রাজধানীর হাতিরঝিল, সদরঘাট ও বসুন্ধরা কনভেনশন এলাকায় এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় আতশবাজি ফুটিয়ে একযোগে এই উদযাপন করা হয়।
এদিকে আলোক উৎসবটিকে দারুণভাবে উপভোগ করেছেন আগত দর্শনার্থীরা। জমকালো আতশবাজি উৎসবের পাশাপাশি লেজার শো-য়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বিজয়, জাতীয় নেতা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়। এক ঝলকে আগত অতিথিরা দেখে নেন দেশের ইতিহাস।
বিদ্যুত খাতের রেকর্ড উৎপাদনে দুই বছর আগে এ ধরনের আলোক উৎসব করা হয়েছিল। ওই সময় জানানো হয়, দেশের বিদ্যুৎখাত ১৫ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার মাইলফলক স্পর্শ করেছে।
বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস জানান, দেশে স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা এখন ১৭ হাজার ৪৩ মেগাওয়াট। এরসঙ্গে আরও ২ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে প্রায় ২৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। সে হিসেবে মোট উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়ায় ২০ হাজার ১৩৩ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎখাতের এই সাফল্যময় মহেন্দ্রক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখতে এই আলোক উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের সময় বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ছিল চার হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট যা বর্তমানে ২০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। মাত্র ১০ বছরে এই অগ্রগতি নিঃসন্দেহে একটি বিরল অর্জন।