গ্রিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী থেসালোনিকিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে চতুর্দশ থেসালোনিকি আন্তর্জাতিক বইমেলা। ১১ মে এই বই মেলার উদ্বোাধন করেন গ্রিসের সংস্কৃতি মন্ত্রী লিদিয়া কনিওর্দো। গ্রিসের সর্ববৃহৎ এই বইমেলায় গ্রিসসহ ২১টি দেশের ৩০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান ও প্রকাশনা সংস্থা অংশগ্রহণ করছে। গত বছরের মতো এবছরও এথেন্সে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এই আন্তর্জাতিক বই মেলায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশকে তুলে ধরার প্রয়াস নিয়েছে। গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জসীম উদ্দিনের নেতৃত্বে দূতাবাস এই মেলায় অংশগ্রহণ করছে।
এই মেলায় এথেন্সের বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রকাশনা দিয়ে বিপুল সংখ্যক দর্শকের সামনে বাংলাদেশকে তুলে ধরছে। বাংলাদেশ স্টলে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য বিষয়ক বই, গবেষণাপত্র, উন্নয়নের তথ্যমূলক বিভিন্ন প্রকাশনা, পুস্তিকা ইত্যাদি প্রদর্শন করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সাফল্য তুলে ধরে প্রদর্শন করা হচ্ছে বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র। বিপুল সংখ্যক আন্তর্জাতিক দর্শকদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়ন, ইতিহাস, বাণিজ্য, ব্যবসা-বিনিয়োগ ও পর্যটন তথ্য সংবলিত পুস্তিকা। নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের মাঝে বাংলাদেশকে পরিচিত করানোর জন্য তাদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও মানচিত্র।
বিভিন্ন দেশ থেকে আগত দর্শকরা বাংলাদেশের স্টল বিশেষত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি এবং বাংলাদেশ সরকারের গৃহিত বিভিন্ন কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রকাশনা বিষয়ে গভীর আগ্রহ দেখাচ্ছে। চতুর্দশ থেসালোনিকি আন্তর্জাতিক বইমেলা ১৪ মে পর্যন্ত চলবে। উদ্যোক্তারা আশা করছেন মেলায় ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি দর্শক সমাগম ঘটবে।
এর পাশাপাশি গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জসীম উদ্দিন থেসালোনিকিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রবাসীরা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তাদের সমস্যা সম্পর্কে অবহিত করেন। রাষ্ট্রদূত প্রবাসীদের বিষয় থেসালোনিকির স্থানীয় প্রশাসনসহ গ্রিক সরকারের কাছে তুলে ধরে তা নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে প্রবাসীদের আশ্বস্ত করেন। তিনি তাদেরকে গ্রিসের আইন মেনে চলতে এবং বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের আহ্বান জানান।
আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশকে তুলে ধরার পাশাপাশি দূতাবাস প্রবাসীদের মাঝে ভ্রাম্যমাণ কন্স্যুলার সেবা প্রদান করছে। থেসালোনিকিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট প্রদান করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ স্টলে সার্বক্ষণিকভাবে প্রবাসীদের কন্স্যুলার বিষয়ক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।