পাইপলাইনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে ভারতের ত্রিপুরায় প্রাকৃতিক গ্যাস নিতে চায় ভারত। ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও দিয়েছে সে দেশের সরকার।
এই নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছে তারা।
ভারতের ওই প্রস্তাব প্রাথমিকভাবে সমর্থন করেছে বাংলাদেশ। অনুমোদন দিলে সীমান্ত এলাকায় রেললাইনের পাশ দিয়ে বসানো হবে এই পাইপলাইন।
ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে রেললাইন বসানোর পর পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু হবে। এ জন্য শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসবেন ভারতের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
প্রতিমন্ত্রীর বরাত দিয়ে সে দেশের একাধিক গণমাধ্যম এ খবর দিয়েছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় রয়েছে রান্নার গ্যাসের তীব্র সঙ্কট। সেই সঙ্কট মোকাবেলার জন্য চট্টগ্রাম থেকে এই গ্যাস নেওয়া হবে ত্রিপুরায়।
ভারতীয় এই প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুরে ডিজেল স্থানান্তরের জন্য আমরা পাইপলাইন স্থাপন করে চলেছি। বিনিময়ে চট্টগ্রাম থেকে ত্রিপুরায় পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ভারতের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, আসামের নুমালিগড়ে অবস্থিত তেল শোধনাগার থেকে শিলিগুড়িতে ডিজেল স্থানান্তরের জন্য রয়েছে পাইপলাইন।
সেখান থেকে পার্বতীপুরে ডিজেল স্থানান্তর করা হবে। এ জন্য পাইপলাইন বসানোর কাজ চলছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পাইপলাইনের অনুমোদন দিলেই ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তে রেললাইনের পাশাপাশি বসানো হবে এই পাইপলাইন।
গত সোমবার ভারতে ‘প্রধানমন্ত্রী উজালা যোজনা’ কর্মসূচির অধীনে ধর্মেন্দ্র প্রধান ত্রিপুরায় দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে-এমন ২০টি পরিবারকে তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের সংযোগ দেন। সেখানে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।