‘এ’ গ্রুপে টানা দ্বিতীয় জয় নিয়ে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইছে বাংলাদেশ। আর এই ম্যাচটি জিতলেই বাংলাদেশের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে, যদি দিনের প্রথম ম্যাচে নেপাল-ভুটান ম্যাচ ড্র হয়। তাই জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না স্বাগতিকরা। ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়ে অনেকদিন পর প্রতিযোগিতাটির শেষ চারে ওঠার লক্ষ্য বাংলাদেশের।
জয় দিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু করেছে দুই দলই। বাংলাদেশ ২-০ গোলে ভুটানকে আর পাকিস্তান ২-১ গোলে হারিয়েছে নেপালকে। শুধু যে স্বাগতিকদের সামনে সেমিফাইনালের হাতছানি, তা শুধু নয়। বাংলাদেশের সমান ৩ পয়েন্ট থাকায় পাকিস্তান জিতলেও শেষ চারের পথে এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের আগে বিকেল ৪টায় মুখোমুখি হবে নেপাল-ভুটান। এই ম্যাচটি ড্র হলে এবং বাংলাদেশ জিতলে তারা সরাসরি চলে যাবে শেষ চারে।
সব মিলিয়ে ১৬বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে দুই দল সমানে সমান। ছয়টি করে জয় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের, বাকি চারটি ড্র। সাফের পরিসংখ্যানেও কেউ কারও চেয়ে এগিয়ে নেই। দুটি করে জয় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের। বাকি দুই ম্যাচ ড্র। অবশ্য ২০১৩ সালে কাঠমান্ডুতে সাফের শেষ দেখায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ জেমি ডে অবশ্য সমীহ করছেন প্রতিপক্ষকে, ‘কঠিন ম্যাচ হতে যাচ্ছে। ইউরোপে খেলা কিছু ভালো ফুটবলার আছে তাদের দলে। শারীরিকভাবে তারা শক্তিশালী বলেও আমি জানি। প্রথম ম্যাচ জেতায় তারাও আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামবে। তাই ম্যাচ থেকে আমাদের কিছু পয়েন্ট পেতে হলে সেরা ফুটবল খেলতে হবে। শারীরিকভাবে পাকিস্তান আমাদের চেয়ে শক্তিশালী, কিন্তু তার মানে এই নয় যে তারা আমাদের চেয়ে ভালো দল। আমরা আত্মবিশ্বাসী। ছেলেরা ম্যাচের জন্য মুখিয়ে আছে। ম্যাচ থেকে কিছু পেতে হলে আমাদের ভালো মানের ফুটবল খেলতে হবে।’