ডিএমপি নিউজঃ আগামী ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশে সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। এই সফরে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল স্বাগতিক বাংলাদেশের সাথে তিনটি ওডিআই ও দুইটি টেস্ট খেলবে। জিম্বাবুয়ে দলের সফর শেষে বাংলাদেশের সাথে ২টি টেস্ট, ৩টি ওডিআই ও ৩টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলতে ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশে আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। উক্ত সিরিজের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে সকল ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
ক্রিকেট সিরিজের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে আজ ১১ অক্টোবর ২০১৮ তারিখ বেলা সাড়ে ১২টায় ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে এক সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়। সমন্বয় সভায় ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম-বার, পিপিএম আসন্ন ক্রিকেট সিরিজের নিরাপত্তায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সকলকে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
সভায় জানা যায়, আগামী ১৬ অক্টোবর হতে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত তিনটি ওডিআই ও দুইটি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দল। এছাড়াও জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল ১৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ত্যাগ করার আগের দিন অর্থাৎ ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশে আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। ১৫ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে সফর করবে ক্যারিবীয়রা। এ সময় তারা বাংলাদেশের সাথে ২টি টেস্ট, ৩টি ওডিআই ও ৩টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। এছাড়াও সফররত উভয় দলই বাংলাদেশের সাথে একাধিক অনুশীলন ম্যাচ খেলবে।
সভাপতির বক্তব্যে কমিশনার বলেন- সকলকে নিয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। বিসিবি, গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে আমরা বিগত দিনে খেলোয়াড়দের সফল নিরাপত্তা দিয়ে দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের সক্ষমতাকে প্রমাণ করেছি। এ কৃতিত্ব শুধু আমাদের না এই কৃতিত্ব বাংলাদেশের নাগরিকদের। তাঁরা আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছেন সুষ্ঠু নিরাপত্তা দিতে। জনশৃংখলা রক্ষার ক্ষেত্রে সকলের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।
নিরাপত্তা নিয়ে কমিশনার সুদৃঢ়ভাবে বলেন, বিসিবি’র সাথে সমন্বয় করে বিমানবন্দর কেন্দ্রিক, খেলোয়াড়দের আবাসনস্থল, খেলার ভেন্যু, প্রাকটিস ভেন্যু ও যাতায়াত পথের নিরাপত্তা বিধানের জন্য আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এসময় খেলোয়াড়রা যে হোটেলে অবস্থান করবে তার আশপাশে থাকতে হবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। থাকবে সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে, লাগেজ স্ক্যানারসহ মেটাল ডিটেক্টর ব্যবস্থা। বহিরাগত গেস্ট প্লেয়ারদের সাথে দেখা করতে হোটেলে তাদের রুমে যেতে পারবে না। প্রয়োজনে হোটেল লবিতে দেখা করবে।
তিনি আরো বলেন, খেলোয়াড়দের যাতায়াত পথে নেয়া হবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্ত রুফটপ ডিউটি ও টহল ব্যবস্থা। রাস্তার পাশে ভ্রাম্যমান হকার উচ্ছেদসহ ময়লা আবর্জনা অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে বলেন।
বিসিবি’র উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, টিকিট ছাড়া কোন লোক স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সিট প্লানিং অনুযায়ী দর্শকদের নিজ নিজ আসনে বসতে হবে। নিজ আসন ছাড়া অন্য জায়গায় বসা যাবে না। এতে শৃঙ্খলা নিশ্চিত থাকবে। টিকিট কালবাজারী ঠেকাতে প্রস্তুত থাকবে ডিবি ও পোশাকধারী পুলিশ। পর্যাপ্ত ছেলে ও মেয়ে ভলেন্টিয়ার বিসিবিকে নিয়োগ করতে হবে। খেলা ও অনুশীলনের পূর্বে এসবি, সিটিটিসি ও র্যাবের ডগ স্কোয়াড দিয়ে ভেন্যু সুইপিং করা হবে। অগ্নি নির্বাপনের জন্য হোটেল ও ভেন্যুতে রাখা হবে পর্যাপ্ত ফায়ার টেন্ডার ও এ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। ভেন্যু অপারেশন সেন্টার (ভিওসি) থেকে সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
উক্ত সমন্বয় সভায় ডিএমপি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিসিবি, গোয়েন্দা সংস্থা, ডিসিসি, ফায়ার সার্ভিস, সরকারী বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।