এই মুহূর্তে আমরা দুনিয়াকে যেভাবে দেখছি ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবী এই একই জায়গায় আটকে থাকবে না। সামগ্রিক পরিবর্তনের ঢেউ গিয়ে লাগবে বিশ্ব অর্থনীতিতে। বহুজাতিক কর, নিরীক্ষা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউসকুপারস (পিডব্লিউসি) শক্তিশালী অর্থনীতি নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বের প্রথম সারির এ পেশাগত সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। এতে উঠে এসেছে ২০৫০ সাল নাগাদ দুনিয়াজুড়ে সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশে পরিণত হতে যাওয়া ৩২টি দেশের নাম।
ভবিষ্যৎ অর্থনীতি নিয়ে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘দ্য লং ভিউ : হাউ উইল দ্য গ্লোবাল ইকোনমিক অর্ডার চেঞ্জ বাই ২০৫০’। এতে বলা হয়, ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার হবে বিশ্বে ২৩তম।
২০৫০ সালকে সামনে রেখে করা পিডব্লিউসি তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো :
নং | দেশ | পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি |
৩২. | নেদারল্যান্ডস | ১.৪৯৬ ট্রিলিয়ন ডলার |
৩১. | কলম্বিয়া | ২.০৭৪ ট্রিলিয়ন ডলার |
৩০. | পোল্যান্ড | ২.১০৩ ট্রিলিয়ন ডলার |
২৯. | আর্জেন্টিনা | ২.৩৬৫ ট্রিলিয়ন ডলার |
২৮. | অস্ট্রেলিয়া | ২.৫৬৪ ট্রিলিয়ন ডলার |
২৭. | দক্ষিণ আফ্রিকা | ২.৫৭০ ট্রিলিয়ন ডলার |
২৬. | স্পেন | ২.৭৩২ ট্রিলিয়ন ডলার |
২৫. | থাইল্যান্ড | ২.৭৮২ ট্রিলিয়ন ডলার |
২৪. | মালয়েশিয়া | ২.৮১৫ ট্রিলিয়ন ডলার |
২৩. | বাংলাদেশ | ৩.০৬৪ ট্রিলিয়ন ডলার |
২২. | কানাডা | ৩.১ ট্রিলিয়ন ডলার |
২১. | ইতালি | ৩.১১৫ ট্রিলিয়ন ডলার |
২০. | ভিয়েতনাম | ৩.১৭৬ ট্রিলিয়ন ডলার |
১৯. | ফিলিপাইন্স | ৩.৩৩৪ ট্রিলিয়ন ডলার |
১৮. | দক্ষিণ কোরিয়া | ৩.৫৩৯ ট্রিলিয়ন ডলার |
১৭. | ইরান | ৩.৯০০ ট্রিলিয়ন ডলার |
১৬. | পাকিস্তান | ৪.২৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার |
১৫. | মিসর | ৪.৩৩৩ ট্রিলিয়ন ডলার |
১৪. | নাইজেরিয়া | ৪.৩৪৮ ট্রিলিয়ন ডলার |
১৩. | সৌদি আরব | ৪.৬৯৪ ট্রিলিয়ন ডলার |
১২. | ফ্রান্স | ৪.৭০৫ ট্রিলিয়ন ডলার |
১১. | তুরস্ক | ৫.১৮৪ ট্রিলিয়ন ডলার |
১০. | যুক্তরাজ্য | ৫.৩৬৯ ট্রিলিয়ন ডলার |
৯. | জার্মানি | ৬.১৩৮ ট্রিলিয়ন ডলার |
৮. | জাপান | ৬.৭৭৯ ট্রিলিয়ন ডলার |
৭. | মেক্সিকো | ৬.৮৬৩ ট্রিলিয়ন ডলার |
৬. | রাশিয়া | ৭.১৩১ ট্রিলিয়ন ডলার |
৫. | ব্রাজিল | ৭.৫৪০ ট্রিলিয়ন ডলার |
৪. | ইন্দোনেশিয়া | ১০.৫০২ ট্রিলিয়ন ডলার |
৩. | যুক্তরাষ্ট্র | ৩৪.১০২ ট্রিলিয়ন ডলার |
২. | ভারত | ৪৪.১২৮ ট্রিলিয়ন ডলার |
১. | চীন | ৫৮.৪৯৯ ট্রিলিয়ন ডলার |
এখন পর্যন্ত বিশ্ব অর্থনীতিতে শীর্ষে মার্কিনিদের অবস্থানের কারণ হলো চীন বা ভারতের শ্রমিক ও মূলধনের উৎপাদনশীলতার তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদনশীলতা অনেক বেশি। কিন্তু ধীরে ধীরে এসব দেশও উৎপাদনশীলতায় এগিয়ে আসছে।
সূত্র : কালেরকন্ঠ