নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। রাজধানী ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তিনি।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
গত ২৭ এপ্রিল ৮৩ বছর বয়সী এই জাতীয় অধ্যাপককে রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ৯ মে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আনিসুজ্জামানের জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি, অবিভক্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাটে। তিনি চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষক।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে গিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে কাজ করেন। সবশেষ বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করে পৃথক বাণী দিয়েছেন। তাঁরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।