ডিএমপি নিউজঃ কামরাঙ্গীরচর থানার হুজুরপাড়া এলাকায় বাবার দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে না পেরে সৎ মা সেলিনা খানমকে হত্যার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হলেন- মোঃ জান্নাতুল ফেরদৌস নাইম (১৮)। গ্রেফতারের পর হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২ অক্টোবর ২০২০ সন্ধ্যায় কামরাঙ্গীরচর থানার হুজুরপাড়া এলাকার সেলিনা খানমকে তার বাসায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কামরাঙ্গীরচর থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়। এই হত্যা মামলার ঘটনা থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি লালবাগ বিভাগ ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা লালবাগ জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শামুসুল আরেফীন ডিএমপি নিউজকে বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তের অবস্থান সনাক্ত করে ০৯ অক্টোবর নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানা এলাকা থেকে নাইমকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর নাইমের দেওয়া তথ্য ও দেখানো মতে রাজধানীর ভাষাণটেক এলাকার তার মামার বাসা থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।
গোয়েন্দা এই কর্মকর্তা বলেন, গত ডিসেম্বরে কামরাঙ্গীরচর থানার হুজুরপাড়া এলাকার এস এম ওবায়দুল্লাহ এর স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেন। সাম্প্রতি ওবায়দুল্লাহ ভিকটিম সেলিনা খানমকে বিয়ে করেন। পিতার এই দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে পারেননি তার জার্মান প্রবাসী ছেলে বিপ্লব হোসেন। এই বিয়েকে কেন্দ্র করে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। কলহের একপর্যায়ে বিপ্লব তার সৎ মা সেলিনা খানমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। বিপ্লবের বাড়ি নড়াইল হওয়ায় ঐ এলাকার একজনের মাধ্যমে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে সেলিনাকে হত্যা করার জন্য নাইমকে ঠিক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, সেলিনাকে হত্যার জন্য বিপ্লব ৫০ হাজার টাকা ও একটি ছুরি নড়াইলের অজ্ঞাত ব্যক্তির মাধ্যমে নাইমকে সরবরাহ করেন। পরিকল্পনা মতে ভিকটিমের বাসা নাইম ভাড়া নেয়। সুযোগ বুঝে ২ অক্টোবর ভিকটিমকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। হত্যার পর বিপ্লব ৩ অক্টোবর বিকাশের মাধ্যমে নাইমকে ৬০ হাজার টাকা প্রদান করেন। আর হত্যাকান্ডের পরিকল্পনায় বিপ্লবের সাথে সমন্বয় করেন বাদীর সৌদি প্রবাসী ভাই মিজান বলে জানান পুলিশে এই কর্মকর্তা।
গ্রেফতারকৃতকে শনিবার (১০ অক্টোবর) কামরাঙ্গীরচর থানায় রুজুকৃত মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।